ওয়াশিংটন বার্লিন দুবাই নিয়ে বিশেষ উৎকণ্ঠা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের প্রভাবশালী দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মিশনগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সরকার। বিশেষ করে ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাই নিয়ে চিন্তা অনেক বেশি। এই মিশনগুলোকে রপ্তানি আয়ের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি।
শুধু তাই নয়, অনেক মিশনের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের চেয়েও কমে গেছে। বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলো টার্গেট অর্জন করতে পারছে না। মিশনগুলো টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আরও ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬২৬ কোটি ডলার। টার্গেটের চেয়ে প্রায় ৪৫৪ কোটি মার্কিন ডলার বা ৫.৮৬ শতাংশ কম রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মিশনগুলো টার্গেট অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী রপ্তানি আয় বাড়ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইপিবি’র তথ্য বলছে, একক মিশন হিসেবে ওয়াশিংটন থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে জার্মানির বার্লিন মিশন থেকে। এ দুটি মিশনেই রপ্তানি আয় টার্গেটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে ওয়াশিংটনে রপ্তানি আয় লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় ১২.৫০ এবং বার্লিন থেকে প্রায় ১৫.৫০ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, এই দুটি মিশনে গত বছরের চেয়েও রপ্তানি আয় কমে গেছে চলতি বছর।
এদিকে, ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ মিশনের মধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ফ্রান্সের প্যারিস, স্পেনের মাদ্রিদও রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিশন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে টার্গেটের চেয়ে প্রায় ১৭.৩০ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে।
আলোচ্য সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর মধ্যে কানাডার অটোয়া, ভারতের নয়াদিল্লি, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, সিঙ্গাপুর এমনকি জাপানের টোকিও মিশনও রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারির পর গত দুই বছর জাপানের টোকিও মিশন রপ্তানি আয় বেশ ভালো করেছে। সরকার এটিকে নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখেছে।
তবে চলতি অর্থবছরে টোকিও মিশনের রপ্তানি চিত্রটি নেতিবাচক হয়ে গেছে, যা উদ্বেগের। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের রপ্তানি চিত্রটিও উদ্বেগজনক।
এদিকে, বিশ্বের প্রভাবশালী মিশনগুলোর রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার বিষয়টি সামাল দিতে গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইপিবি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান প্রভাবশালী দেশগুলোয় রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাই, টোকিওর মতো গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর রপ্তানি আয় কেন কমে যাচ্ছে-এই বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে যত দ্রুত সম্ভব লিখিত কারণ জানাতে বলা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ইপিবির এক সূত্র জানান, যেসব মিশন রপ্তানি টার্গেট পূরণ করতে পারেনি, সেগুলোর কাছেও চিঠি পাঠানো হবে। কেন রপ্তানি বাণিজ্য হ্রাস পাচ্ছে, কোথায় চ্যালেঞ্জ-এই বিষয়ে মিশনগুলোর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
এই বিষয়ে ইপিবির এক কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬১টি মিশন রয়েছে বাংলাদেশের। এসব মিশনকে প্রতি বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এসব মিশনের কাজই হচ্ছে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বহুমাত্রিক উদ্যোগ নেওয়া।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশে সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কার্যকর সংযোগ স্থাপন, সম্ভাবনাময় পণ্যের বাজার সৃষ্টি, কোনো চ্যালেঞ্জ থাকলে সরকারকে দ্রুত অবহিত করাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি রপ্তানির গতি বাড়াতে আমদানিকারকের সঙ্গে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকের পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এসব মিশনের মূল কাজ। তবে এতে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ মিশন।
বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রপ্তানি আদেশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশনগুলো সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। দু-একটি মিশন ব্যবসায়ীদের সহায়তা করলেও পর্যাপ্ত নয়। রপ্তানি কমে যাওয়ার মূল কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় বিক্রি কমে গেছে।
তিনি বলেন, দেশগুলো ক্রয়াদেশও কম দিচ্ছে। এর ফলে আমাদের কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি কাজ করতে পারছে না। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার দেশগুলোতেও। এই অবস্থায় ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা যদি আরও বেড়ে যায় তবে রপ্তানি খাত আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে।
শেয়ারনিউজ, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
পাঠকের মতামত:
- একদিনেই মনোস্পুলের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি
- মামদানির নির্বাচনী সাফল্যে ওবামার হট লাইন
- আইএসএন-এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ডাচ-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার অভিযোগ
- আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
- সারা দেশের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- তথ্যপ্রযুক্তির দুই কোম্পানি হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের
- এনসিপির বড় পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন নাহিদ ইসলাম
- “শাপলা কলি” প্রতীক পছন্দের কারণ জানালেন এনসিপি
- তথ্যপ্রযুক্তির তিন কোম্পানির ডিভিডেন্ড স্থিতিশীল
- শেয়ারবাজারের বিপর্যয় ঠেকাল ৬ কোম্পানি
- চাহিদার চাপে ৭ কোম্পানির শেয়ার হল্টেড
- আগামীকাল বিডি ল্যম্পসের লেনদেন বন্ধ
- ইনটেক লিমিটেডে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ
- বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
- এবার ‘শাপলা কলি’ নিয়ে মাঠে নামছে এনসিপি
- এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
- বিশ্ব ইজতেমা কবে জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- ওমরাহে যাওয়ার সময় এই জিনিসগুলো নেবেন না কখনো
- বড় পরিবর্তনের গুঞ্জনের মাঝেই জামায়াতের আমির হলেন যিনি
- নিম্নমুখী সূচকে সপ্তাহের সূচনা, বেড়েছে লেনদেন
- ০২ নভেম্বর ব্লকে তিন কোম্পানির বড় লেনদেন
- ০২ নভেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ০২ নভেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ০২ নভেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- একনজরে দেখে নিন ১৮ কোম্পানির ইপিএস
- পুষ্টি বজায় রাখতে ফ্রিজে ইলিশ মাছ রাখার ৫টি অপরিহার্য নিয়ম
- নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য বাসভবন নিয়ে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
- সঞ্চয়পত্র কেনার পর যেসব বিষয়ে সতর্ক না থাকলেই বিপদ
- ৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের
- জাকির নায়েকের সফর নিয়ে ভারতকে জবাব বাংলাদেশের
- সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে লেনদেন
- সরকারি সার ও বীজ উদ্ধারের বিষয়ে যা জানালো জামায়াত
- বাংলাদেশের নির্বাচনে আ.লীগকে রাখা নিয়ে ভারতের মন্তব্য
- ভারতের পাসপোর্ট পিছিয়ে পড়ার ৫ বড় কারণ
- ৭ মাস পর ইউরিয়া উৎপাদনে ফিরল চট্টগ্রামের সিইউএফএল
- যে নিয়ম মানলে সহজ হবে আমেরিকার ভিসা পাওয়া
- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাকে নৌকা উপহার!
- জানুন বিকাশ–নগদে নতুন লেনদেন নিয়ম
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- দেখে নিন ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ৫০ দিনে জীবন পাল্টে দেওয়ার সহজ ৭ অভ্যাস
- যে কারণে হঠাৎ বির্তকে সালাহউদ্দিনের আহমেদের ছেলে
- আইপিওতে বদলে যাচ্ছে কোটা: সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুযোগ নামছে অর্ধেকে
- সাপ্তাহিক লেনদেন বৃদ্ধির নেতৃত্বে ১২ খাত
- লেনদেন কম, আয় কম—এফডিআরের সুদেই ভরসা ডিএসইর
- বিএটিবি-এর মুনাফা ও ক্যাশ ফ্লোতে ব্যাপক ক্ষতি
- ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও গভর্নরকে আদালতে তলব
- সচিবরা আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না
- এনসিপির শাপলা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল ইসি
- এক টাকার নিচে শেয়ারের জন্য নতুন নিয়ম আনল ডিএসই
- জানা গেলো পে স্কেল ঘোষণার সময়
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবরের বন্যা
- ৩ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- ডিএসইর দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- হিরোশিমার চেয়ে ৫০০ গুণ শক্তিশালী গ্রহাণু বাংলাদেশের দিকে
- দেখে নিন ২০ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ৪০ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- মার্জিন ঋণ পরিবর্তনের খবরে ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- কলকাতায় মেসির থালায় যা যা থাকবে দেখে নিন একনজরে
- আবারো ভাঙা হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে
- RSI বিশ্লেষণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ৬ শেয়ার
- অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসেও থামছে না পাঁচ ব্যাংকের পতন
- টেকনো ড্রাগসের ডিভিডেন্ড ঘোষণা














