ঢাকা, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বাংলাদেশের ভিসানীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনা

২০২৩ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৬:৩৩:৫০
বাংলাদেশের ভিসানীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে বা গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করে এমনসব ব্যক্তিবর্গের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করা শুরু করেছে। এ নিয়ে আলোচনা চোখে পড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও। তবে মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে বিচলিত নন বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং মন্ত্রীবর্গ ইতোমধ্যে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিধি-নিষেধের সতর্ক করার প্রায় চার মাস পরে এই ভিসানীতি আরোপ করা হয়েছে।

গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আমরাও তাই। বৈশ্বিক শক্তি হিসাবে, তারা অবশ্যই অন্যদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু আমরা চিন্তা করি না কারণ আমরা জানি কিভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার মিডিয়ায় বলেছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কারো নাম প্রকাশ করেনি। কারণ ভিসা রেকর্ডগুলো মার্কিন আইনে গোপনীয়।

সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি তৈরি পোশাক শিল্পের দুটি মূল গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির আল-জাজিরাকে বলেছেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই ভিসা রোধ করা হয়েছে। আসলে যারা প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কেননা মার্কিন সরকার অবশ্যই এই বিধি-নিষেধের আরোপের আগে যথাযথ ভিত্তি কাজ করেছে।

একই সংবাদমাধ্যমকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলাদেশ-আমেরিকান ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাফকাত রাব্বি বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে আসা হাই-ভোল্টেজ ব্যস্ততা এবং যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এটা নিশ্চিত যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টা না করে অন্তত নামমাত্র একটি সংকল্প নিয়েছে।

তার কথায়, বাংলাদেশে নির্বাচন অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র রক্ষায় নামমাত্র প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। তারা এখানে খুব বেশি খরচ করছে না। সহজ এবং ঝামেলাহীন পন্থা হিসেবে শুধু ভিসা নিষেধই আরোপ করেছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য যে তেমন আক্রমণাত্মক নয় তা স্পষ্ট। এরপরেও গণতন্ত্রের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকলে হয়তো তারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বিচার বিভাগের ওপরও বিধি-নিষেধ দিতে পারে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই পদক্ষেপটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর ২৪ মের ঘোষণার ফলোয়াপ এবং বাস্তবায়ন। তিনি বিবৃতিতে বলেছিলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে।

শেয়ারনিউজ, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে