ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ইলিয়াস-পিনাকীর নাম!

২০২৫ নভেম্বর ১৯ ০৯:০৯:০৯
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ইলিয়াস-পিনাকীর নাম!

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী, তদন্ত সংস্থা, অ্যাটর্নি জেনারেল, ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় ও বিচারকদের ভূমিকা

রায় ঘোষণার সময় তিনি জানান, জুলাই–আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে জাতিসংঘের প্রতিবেদন, অডিও–ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণের ভিত্তিতে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় প্রস্তুত করা হয়েছে। রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। রায়ের শেষ অংশ—অর্থাৎ আসামিদের শাস্তি—পাঠ করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার।

রায়ে উঠে আসে মানবাধিকার পরিস্থিতি

রায়ের বিভিন্ন অংশে আদালত মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক দমন–পীড়নের উল্লেখ করেন। এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শোষণ, অপহরণ, হত্যা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকোচনসহ নানা অভিযোগে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।

বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ পড়া অংশে বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল বৈষম্য ও দমননীতি থেকে মুক্তি; কিন্তু এসব প্রত্যাশা পরবর্তীতে ভেঙে যায়। প্রসিকিউটর আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী দল’ হিসেবে আখ্যা দেন—এ কথাও রায়ে উল্লেখ আছে।

পিনাকি ভট্টাচার্যসহ বহু সমালোচকের নাম রায়ে

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সমালোচক, সাংবাদিক, লেখক, সিভিল সোসাইটি সদস্য, আইনজীবী ও বিচারকদের ওপর দমন–পীড়নের কথাও রায়ে উঠে এসেছে।এ সময় দেশত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের তালিকাতেও নাম উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছেন—

পিনাকি ভট্টাচার্য (রাজনীতিক ও সাংবাদিক)

মাহমুদুর রহমান

এসকে সিনহা (সাবেক প্রধান বিচারপতি)

শফিক রেহমান

ইলিয়াস হোসাইন

কনক সরওয়ার

মুশফিকুল ফজল আনসারী

অলিউল্লাহ নোমান

শাহেদ আলম

জাওয়াদ নির্ঝর

তাসনিম খলিল ইত্যাদি।

রায়ে বলা হয়, তারা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলতেন, আন্দোলন করতেন এবং সরকারবিরোধী সমালোচনার কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার অভিযোগও উল্লেখ

বিচারপতি শফিউল আলম রায় পড়ে শোনানোর সময় আরো বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা নেয় এবং সমান্তরাল বাহিনী হিসেবে রক্ষীবাহিনী গঠন করে।

২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার সরকারও একই ধরনের নির্যাতন, অপহরণ, গুম, মিথ্যা মামলা ও বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করেছে—রায়ে এমন পর্যবেক্ষণও উঠে আসে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে