ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

‘আ.লীগ প্রার্থীদের ২৯০ আসনে বিজয়ী করতে পারব’

২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:৪৪:০৮
‘আ.লীগ প্রার্থীদের ২৯০ আসনে বিজয়ী করতে পারব’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব।

তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী ওই বৈঠকে দাবি করেন, “আমি নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে পারব এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ২৯০ আসনে বিজয়ী করতে পারব।” তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে পুলিশ ফোর্সের উপস্থিতি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে ভোটে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব।

পুলিশ সদর দপ্তরের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কপোতাক্ষ’ নামে একটি কক্ষ ব্যবহৃত হয় অস্বাভাবিক কাজে। এখানে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে এক দল পুলিশ কর্মকর্তা দেশের সবচেয়ে সূক্ষ্ম এবং পরিকল্পিত ভোট ডাকাতির নীলনকশা প্রস্তুত করেন। তারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের ভোটের প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করেন।

পুলিশের সূত্র জানায়, জাবেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে একটি বিশ্বস্ত কোর টিম থাকত, যাদের নাম ছিল ‘টিম জাবেদ’। এই টিমে ছিলেন এসবির ডিআইজি (পলিটিক্যাল) মাহবুব হোসেন, সিটিটিসি ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, এসবির অ্যাডিশনাল আইজিপি এজেডএম নাফিউল ইসলাম, বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিলন মাহমুদ এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

পুলিশের একটি গোপন প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ মাত্র ১৪ আসন পেতে পারে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ভোটে হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা গৃহীত হয়।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে