ঢাকা, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তের মুখে সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান

২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৯:০৮:৩৩
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তের মুখে সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি ব্যাংক সাউথইস্ট ব্যাংক–এর সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির, তার ছেলে রাইয়ান কবির, পুত্রবধূ নুসরাত নাহার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট ও সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ার লেনদেনের আড়ালে ঋণ জালিয়াতি, সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিএসইসি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যাদের ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক রানা দাশ। তদন্ত কার্যক্রমের বিষয়ে আভিভা ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।

কমিটি তদন্ত করবে—সাউথইস্ট ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তাদের কর্মকাণ্ডে শেয়ারবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএসইসি মনে করে, বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে অভিযোগগুলো গভীরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী কমিশন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ২১, বিএসইসি আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

প্রসঙ্গত, আলমগীর কবির চলতি বছরের ২০ জুলাই ব্যক্তিগত ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি ২০০৪ সাল থেকে টানা ২০ বছর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মেয়াদকালে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করা, অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ এবং বিধিবহির্ভূত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।

সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় পরিবর্তন আসে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এম এ কাশেম নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার পরও আলমগীর কবির পরিচালক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এর আগেও বিএসইসি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর বে লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেনে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। একই ঘটনায় তার স্ত্রী সুরাইয়া বেগমকে ৫ কোটি টাকা এবং জামাতা তুষার এল কে মিয়াকে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করে কমিশন।

এ ছাড়া ২০২৫ সালের ১৪ জুলাই, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আলমগীর কবিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ওই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে