ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

ডিএসই'র এসএমই বোর্ডে ধস: এক বছরে সূচক কমেছে ২৭%

২০২৫ আগস্ট ১৯ ০৯:৪০:৪২
ডিএসই'র এসএমই বোর্ডে ধস: এক বছরে সূচক কমেছে ২৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) বোর্ডের মূল্যসূচক গত এক বছরে ব্যাপক পতন দেখেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) পর্যন্ত সূচকটি ২৭ শতাংশ বা ৩৪৫ পয়েন্ট কমে ৯৫০ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা এর ভিত্তিস্তরের (১ হাজার পয়েন্ট) নিচে। গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই খাতের জন্য এটি একটি বড় ধরনের সংশোধন।

এই পতনের প্রধান কারণ হলো তালিকাভুক্ত ২০টি এসএমই স্টকের মধ্যে ১৫টির শেয়ারের দামে তীব্র পতন। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দরপতন অনিবার্য ছিল, কারণ কোম্পানিগুলোর মূল্যবৃদ্ধি ছিল কৃত্রিম এবং তাদের আয় বা কার্যকারিতার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক ছিল না।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করা এই বোর্ডের সূচক ২০২২ সালের আগস্টে জল্পনামূলক লেনদেনের ফলে ২ হাজার ২৪৪ পয়েন্টের শীর্ষে পৌঁছেছিল। তবে গত বছরের ১৯ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এসএমই স্টকগুলোর দাম ৩% থেকে ৭৬% পর্যন্ত কমেছে। এরফলে এসএমই বোর্ডের বাজার মূলধন ১০ বিলিয়ন টাকার বেশি কমে ১৯.২৩ বিলিয়ন টাকায় দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, একই সময়ে ডিএসই'র প্রধান বোর্ডের সূচক মাত্র ৬% কমেছে। উল্টোদিকে, কিছু বড় মূলধনের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ফলে এর বাজার মূলধন ১৫৪ বিলিয়ন টাকা বেড়েছে।

এর আগে এসএমই সূচকের ঊর্ধ্বগতির পেছনে থাকা ইউসুফ ফ্লাওয়ার এবং হিমাদ্রি-এর মতো স্টকগুলো গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য পতনের শিকার হয়েছে। ইউসুফ ফ্লাওয়ারের শেয়ারের দাম ৬৭% কমে সোমবার ২ হাজার ১৮ টাকায় নেমে আসে, যা এক বছর আগে ছিল ৬ হাজার ১৩৭ টাকা। হিমাদ্রির শেয়ারের দামও ৫৩% কমে ১ হাজার ২২ টাকায় নেমে এসেছে।

বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ছিল জল্পনামূলক আচরণ ও গুজব। গত বছর এই দুই কোম্পানির শেয়ারের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, ভালো ডিভিডেন্ড দেওয়া মূল বাজারের অনেক কোম্পানির শেয়ারের দামও এর ধারেকাছে ছিল না।

গত বছরের জুলাইয়ে বিএসইসি হিমাদ্রির শেয়ার কারসাজির জন্য চারজন ব্যক্তি এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করে।

গত বছরের ১৮ আগস্ট নতুন বিএসইসি চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন কমিশনের কঠোর মনোভাবের কারণে কারসাজিকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকেই শেয়ার বিক্রি শুরু করেন।

নতুন কমিশন এখন বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে