ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিতর্ক, শেষ পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে রাখার সিদ্ধান্ত

২০২৫ আগস্ট ১৯ ০৮:৪৪:৩১
৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিতর্ক, শেষ পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে রাখার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় শিক্ষাক্রম কমিটি (এনসিসি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কার্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের সংশোধিত পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন সংক্রান্ত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ ভাষণ না রেখে এটি সংক্ষিপ্ত আকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সভার শুরুতে এনসিটিবি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন কিছু শিক্ষক প্রতিনিধি ৭ মার্চের ভাষণটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এর তীব্র বিরোধিতা করেন এবং ভাষণটি সংক্ষিপ্ত আকারে রাখার পরামর্শ দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বিতর্ক হলেও, আলোচনার পর ভাষণটি সংক্ষিপ্ত আকারে অষ্টম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যে এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমসহ কয়েকজন ৭ মার্চের ভাষণের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। তারা এটিকে ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তুলে ধরেন এবং সংক্ষিপ্ত আকারে রাখার প্রস্তাব দেন।

এদিকে, সভায় ‘আমাদের নতুন গৌরব গাঁথা’ শিরোনামের একটি প্রবন্ধ নিয়েও সমালোচনা হয়। কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেন যে, সেখানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং কৌশলে শেখ হাসিনার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আলোচনা শেষে প্রবন্ধটি সংশোধন করে গণহত্যাকারীদের উল্লেখের পাশাপাশি শেখ হাসিনার নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হলো যে, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ৭ মার্চের ভাষণ নতুন পাঠ্যবইয়ে থাকবে, তবে তা পূর্ণাঙ্গ রূপে নয়, বরং সংক্ষিপ্তসার হিসেবে।

মারুফ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে