ঢাকা, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

জাতীয় সনদে স্থান পাচ্ছে বিএনপির আপত্তি জানানো বিষয়

২০২৫ জুলাই ২৬ ১৩:০৫:৪০
জাতীয় সনদে স্থান পাচ্ছে বিএনপির আপত্তি জানানো বিষয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন। তবে, নির্বাচন কমিশন গঠনসহ কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলেও, সরকার ব্যবস্থা ও সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও স্পষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৩টি সংলাপ সম্পন্ন করেছে তারা। এসব আলোচনা থেকে একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত করে প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।

কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন,“সব বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া বাস্তব নয়। কমিশনের কাজ হচ্ছে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ঐকমত্য গড়ে তোলা, বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।”

আলোচনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে, যেখানে বেশিরভাগ দল একমত হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক কিছু কাঠামোগত সংস্কারেও আংশিক ঐক্যমত্য তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি বলছে, তারা প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পক্ষে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন,“শতভাগ ঐক্যমত্য যেসব বিষয়ে হবে, সেগুলোই জনগণের সামনে আনা উচিত। কেউ কিছু চাপিয়ে দিলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

দলটি বলছে, তারা সনদে স্বাক্ষর দেবে তখনই, যখন মৌলিক সংস্কারগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করা হবে।নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন,“জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আগে আমাদের দুটি শর্ত—মূল সংস্কার অন্তর্ভুক্তি ও আইনি ভিত্তি নিশ্চিতকরণ।”

দলটি চাইছে, এই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি হোক গণপরিষদ নির্বাচন অথবা গণভোটের মাধ্যমে।

সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন,“আইনি ভিত্তির প্রশ্নে বড় ধরনের বিতর্ক রয়েছে। এটি যদি গণভোট বা গণপরিষদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, তাহলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।”

কমিশন এই মাসেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে চায়। তবে, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমতের কারণে এর চূড়ান্ত রূপ ও বাস্তবায়নের পথ এখনও কিছুটা অনিশ্চিত।

বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারে এক ঐতিহাসিক পালাবদল ঘটতে পারে—তবে এর জন্য প্রয়োজন আস্থার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য সমঝোতা।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে