ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

নারীদের নিয়ে ডা. তাসনিম জারার ১০টি চমকে দেওয়া সতর্কতা

২০২৫ জুলাই ০৪ ১৫:২৪:৪৬
নারীদের নিয়ে ডা. তাসনিম জারার ১০টি চমকে দেওয়া সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাসিক বা ঋতুস্রাব নারীর জীবনে একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিন অন্তর মাসিক হওয়াকে নিয়মিত ধরা হয়। তবে অনেক নারীর ক্ষেত্রে এই চক্রে বিঘ্ন ঘটে, যাকে বলা হয় অনিয়মিত মাসিক। এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে অনিয়মিত মাসিকের সম্ভাব্য কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও 'সাহায্য হেলথ'-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডা. তাসনিম জারা।

তিনি জানান, অনিয়মিত মাসিকের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কিছু কারণ সাময়িক এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য হলেও, কিছু কারণ দীর্ঘমেয়াদী বা অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

অনিয়মিত মাসিকের সম্ভাব্য কারণসমূহ:

১. মানসিক চাপ:

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ শরীরের হরমোন নিঃসরণে প্রভাব ফেলে, যা মাসিক চক্রকে বিঘ্নিত করতে পারে।

২. অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন:

দেহের ওজন খুব বেশি বা খুব কম হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়তে পারে।

৩. অতিরিক্ত ব্যায়াম:

খুব বেশি পরিশ্রমজনিত ব্যায়াম—বিশেষত ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে—শরীরের ওপর চাপ পড়ে এবং মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৪. খাদ্যাভ্যাস:

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, অপুষ্টি, বা হঠাৎ করে ওজন কমানোর চেষ্টাও মাসিকের নিয়মিততা নষ্ট করতে পারে।

স্বাস্থ্যগত কিছু কারণ:

৫. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:

ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের তারতম্য মাসিক চক্র ব্যাহত করতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল, প্রসব পরবর্তী সময় এবং মেনোপজের পূর্ববর্তী সময় এ ভারসাম্যহীনতা বেশি দেখা যায়।

৬. পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS):

এই হরমোনজনিত সমস্যা ডিম্বাশয়ে ছোট সিস্ট তৈরি করে, যা মাসিক অনিয়মিত করার পাশাপাশি ব্রণ, ওজন বেড়ে যাওয়া ও অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধির মতো উপসর্গও তৈরি করে।

৭. থাইরয়েড সমস্যা:

থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কম (হাইপোথাইরয়েডিজম) বা বেশি (হাইপারথাইরয়েডিজম) হলে মাসিক চক্র ব্যাহত হয়।

৮. ওষুধের প্রভাব:

গর্ভনিরোধক পিল, থাইরয়েড ওষুধ, রক্ত পাতলা করার ওষুধ বা কিছু মানসিক ওষুধও মাসিককে প্রভাবিত করতে পারে।

৯. জরায়ু ফাইব্রয়েডস:

জরায়ুতে থাকা নন-ক্যানসারাস টিউমার (ফাইব্রয়েড) অতিরিক্ত রক্তপাত বা অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে।

১০. ডিম্বাশয় বা জরায়ুর অন্যান্য সমস্যা:

সংক্রমণ, এন্ডোমেট্রিওসিস কিংবা কাঠামোগত জটিলতাও মাসিক অনিয়মের পেছনে ভূমিকা রাখে।

ডা. তাসনিম জারা পরামর্শ দেন, অনিয়মিত মাসিক বারবার দেখা দিলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ এটি শরীরের ভেতরের অন্য কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর



রে