ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
Sharenews24

ঘোষণা দিয়েও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলেন না উপদেষ্টা

২০২৫ মে ২৭ ১১:০৭:৩৫
ঘোষণা দিয়েও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারলেন না উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ৭৫,০০০-এর বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ বাস ও ট্রাক এখনো রাস্তায় চলাচল করছে। সড়ক দুর্ঘটনা, পরিবেশ দূষণ এবং যানজটের অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে এই ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ গাড়িগুলো। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা এসব গাড়ি অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাস্তবে কার্যকর কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

উদ্যোগ ও ঘোষণা:

২০২৪ সালের অক্টোবরে সিদ্ধান্ত হয় মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি অপসারণে।

মালিকদের ৬ মাস সময় দেয়া হয়, যা শেষ হয়েছে এপ্রিল ২০২৫-এ।

বাস্তবতা:

সময় শেষ হলেও অপসারণ কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।

ঈদের অজুহাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে।

সংখ্যা ও তথ্য (বিআরটিএ):

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মিলিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ বাস: প্রায় ২৮,৭৬১টি।

মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যবাহী যান: প্রায় ৪৬,৪৮১টি।

কারণ ও প্রতিবন্ধকতা:

মালিকদের চাপ এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতা।

বিকল্প পরিবহন না থাকা।

ঋণ ও বৈদ্যুতিক গাড়িতে রূপান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা।

সম্ভাব্য পরিণতি:

দুর্ঘটনার ঝুঁকি: মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল দুর্ঘটনার হার বাড়ায়।

পরিবেশ দূষণ: এসব যানবাহন দূষণের অন্যতম উৎস।

আইনের শিথিলতা: ঘোষণার পরও কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া আইন ও প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়।

বিশ্লেষণ ও সুপারিশ:

বিকল্প পরিকল্পনা: পুরনো গাড়ির বিপরীতে নতুন পরিবহন ব্যবস্থা চালু না হলে সঙ্কট বাড়বে।

সাবসিডি ও ঋণ সহায়তা: মালিকদের নতুন গাড়ি কিনতে প্রণোদনা দরকার।

আইন প্রয়োগে কঠোরতা: ঈদের পর নয়, অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট টাইমলাইন দিয়ে বাস্তবায়ন জরুরি।

প্রযুক্তি ব্যবহার: ফিটনেস যাচাই ও লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা উচিত।

সরকারি ঘোষণা ও বাস্তবায়নের মাঝে যে ফাঁক, তা জনস্বার্থে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সময়ক্ষেপণ না করে পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সড়ক ব্যবস্থার নিরাপত্তা ও পরিবেশ—দুয়োটাই হুমকির মুখে পড়বে।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে