ঢাকা, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
Sharenews24

স্টারলিংক যে কারণে সাধারণ ইন্টারনেট থেকে আলাদা

২০২৫ মে ২০ ১৩:০৩:১৭
স্টারলিংক যে কারণে সাধারণ ইন্টারনেট থেকে আলাদা

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় স্টারলিংক। এটি মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের একটি অঙ্গসংস্থা, যা হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দিয়ে চলেছে। এবার বাংলাদেশেও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে স্টারলিংক।

বিশ্বের যেসব অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছানো দুঃসাধ্য, সেখানে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারে স্যাটেলাইটের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। আর এর সাহায্যে দুর্গম এলাকাগুলোতেও সহজে পৌঁছানো যায় ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশের দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে।

স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে এবং ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের প্রায় ১০০টির বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানে প্রথম স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর একেক করে শতাধিক দেশে স্টারলিংকের যাত্রা। এবার স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশে।

তবে সবার মনে একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, সাধারণ ইন্টারনেট এবং স্টারলিংক কোথায় আলাদা। এর সুবিধা কী, কীভাবে কাজ করে স্টারলিংক যে কারণে বিশ্বে এর এতো জনপ্রিয়তা।

মূলত বাংলাদেশে এখন যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয়, তা সাবমেরিন কেব্লনির্ভর। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দেয়।

তবে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা দেয় স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। স্টারলিংকের মূল প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের ইন্টারনেট-সেবা জিওস্টেশনারি (ভূস্থির উপগ্রহ) থেকে আসে, যা ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপর থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত হাজার হাজার স্যাটেলাইটের একটি সমষ্টি হচ্ছে স্টারলিংক, যা পুরো বিশ্বকেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে।

২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে, স্টারলিংকের ৬ হাজার ৯৯৪টি স্যাটেলাইট স্থাপিত হয়েছে। এসব স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৪২ মাইল (৫৫০ কিলোমিটার) ওপরে কক্ষপথে ঘুরছে।

স্টারলিংকের ইন্টারনেটে ডাউনলোড গতি ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড)। তবে বেশির ভাগ ব্যবহারকারী ১০০ এমবিপিএসের বেশি গতি পান। স্টারলিংকে আপলোড গতি সাধারণত ৫ থেকে ২০ এমবিপিএসের মধ্যে থাকে।

যেখানে ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের প্রতিষ্ঠান ওকলার তত্যানুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ডের ডাউনলোড গতি ছিল ৫৩ দশমিক ১২ এমবিপিএস এবং আপলোড গতি ছিল ৪৯ দশমিক ২১ এমবিপিএস। মোবাইল ইন্টারনেটে ফেব্রুয়ারি মাসে ডাউনলোড গতি ছিল ৩৭ দশমিক ৯৮ এমবিপিএস এবং আপলোড গতি ছিল ১৩ দশমিক ৩০ এমবিপিএস।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর সব খবর



রে