ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

‘তুই সাংবাদিক তো কি হইছিস, তোকে সেন্ডেল খুলে পিটাবো’

২০২৫ মার্চ ২৬ ২২:২৯:০৮
‘তুই সাংবাদিক তো কি হইছিস, তোকে সেন্ডেল খুলে পিটাবো’

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শ্যালিকা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতির বোন ফাতেমা আক্তার মিলি। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে আসছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৪ সালে তাঁর ভগ্নিপতি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত হন। এমপি হওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের জিম্মি করে ফাতেমা আক্তারকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ে একক আধিপত্য দাবি করতে শুরু করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগের নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং ১১ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক বাণিজ্যও ঘটেছে।

ফাতেমা আক্তার মিলি ২০১৫ সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন। তিনি টিউশন ফি আত্মসাৎসহ অন্যান্য অনিয়ম ঘটিয়ে আসছেন। বিশেষত, উৎকোচ না পেলে কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় স্বাক্ষর না করাসহ অবসরে যাওয়া কর্মীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করার অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে।

এমনকি, একজন নৈশপ্রহরী আব্দুর রহমানের মৃত্যু পরবর্তী ভাতা প্রদান করা হয়নি এবং তাঁর বয়সের ভুল ধরে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন এবং জাতীয় দিবসগুলিতে পতাকা উত্তোলন করতে আসেননি, এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জুলাইয়ের পর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতিতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তিনি সাংবাদিকদের প্রতি অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারধরের হুমকি দেন।

প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মিলি এ সময় সাংবাদিককে জুতা পেটা করাসহ বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

ভিডিওতে তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘তুই সাংবাদিক এখানে কেন? তুই সাংবাদিক তো কি হইছিস, তোকে সেন্ডেল খুলে পিটাবো’

সংবাদকর্মী মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, তিনি নিপীড়নের অভিযোগের পক্ষে পরিবেশন করতে গেলে প্রধান শিক্ষক তাঁর ওপর আক্রমণ করেন। তিনি এখন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করবেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় অবিভাবক বাবলু মন্ডল বলেন, সাংবাদিকের সঙ্গে এমন নোংরা ভাষায় কথা বলা দুঃখজনক। আরেক অবিভাবক নুরুজ্জামান বলেন, তাঁর বাবা নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন এবং তিনি চাকরি শেষের দিকে বেতন বন্ধ করার শিকার হয়েছেন।

মারুফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে