ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

পূর্বাচল প্লট নিয়ে ফেসবুকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাখ্যা

২০২৫ মার্চ ১২ ১৯:৪৭:১৯
পূর্বাচল প্লট নিয়ে ফেসবুকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ব্যাপারে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানার পরিবার এবং তার পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে। এছাড়া, শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানার ১২৪টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া, এই প্লট জালিয়াতির মামলাকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

গত বছর আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটি শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম চার্জশিট। তবে, সজীব ওয়াজেদ জয় এই মামলাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, “তথাকথিত পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি" আসলে একটি অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ষড়যন্ত্র, যা ইউনূস সরকার পরিচালনা করছে। তার মতে, এই ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া, যাতে তারা সরকারের ব্যর্থতার দিকে মনোযোগ না দেয়।

জয় আরো বলেন, "যখনই ইউনূস সরকার নিজেদের শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে জনগণের তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষোভের মুখোমুখি হয়, তখনই তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হাস্যকর অভিযোগ ছড়ায়, এমনকি বিদেশি গণমাধ্যমেও। এবারও সেই একই কাজ করা হচ্ছে।"

তিনি দাবি করেন, "বাংলাদেশ যখন ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো সহিংস অপরাধের বিপর্যয়ে জর্জরিত, তখন জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য ইউনূস সরকার পূর্বাচল প্লট বরাদ্দের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে, যাতে তারা জনগণের নজর সরাতে পারে।"

সজীব ওয়াজেদ জয় আরও জানান, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি। বরাদ্দ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আইন এবং বিধি-বিধানের আওতায় ছিল। এটি শুধু আমাদের পরিবারের সম্মান হানি করার একটি অপচেষ্টা।”

এছাড়া, জয় মন্তব্য করেন, "এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে ইউনূস সরকার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করেছে, যেখানে বিএনপি-সমর্থিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।"

তিনি বলেন, "নতুন দুদক চেয়ারম্যান, ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, যিনি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন, তাকে বিএনপির পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যক্তি এতটাই পক্ষপাতদুষ্ট ও দুর্নীতিগ্রস্ত যে, তার কাছ থেকে ন্যায়বিচারমূলক তদন্ত আশা করা সম্ভব নয়।”

সজীব ওয়াজেদ জয় মন্তব্য করেন, “এটা একেবারেই প্রমাণিত যে, ইউনূস সরকার মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়ে বিরোধীদের দমন করার ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা অভিযোগ বাংলাদেশের জনগণের কাছে নতুন কিছু নয়। জনগণ জানে, এই অবৈধ সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে মিথ্যা প্রচারণার আশ্রয় নিচ্ছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র কখনও সত্যকে ঢেকে রাখতে পারবে না।"

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে