ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

প্রতারণার শিকার সানলাইফ ইন্সুরেন্সের গ্রাহকরা

২০২৫ মার্চ ১১ ১৫:১৯:০৯
প্রতারণার শিকার সানলাইফ ইন্সুরেন্সের গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০০৬ সালে সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড থেকে ১২ বছর মেয়াদি পলিসি কিনেছিলেন সাটুরিয়া উপজেলার ভাসিয়ালী কৃষ্টপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা এই পলিসি মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার এক মাসের মধ্যে লাভসহ টাকা ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০ বছরেও তিনি তার টাকা ফেরত পাননি। শুধু আবু বকর সিদ্দিকই নন, সাটুরিয়া উপজেলার ৫ হাজারেরও বেশি গ্রাহক এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন, যারা আজও তাদের আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।

এছাড়া, সানলাইফ ইন্সুরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বেশ কিছু গ্রাহককে পলিসি করিয়েছিল। সানলাইফ ইন্সুরেন্সের মালিকানার পরিবর্তন হলেও বর্তমানে গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে এই কোম্পানির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, তবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সাটুরিয়া উপজেলার অনেক গ্রাহকই সানলাইফের পলিসি কিনে তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর অফিসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। দরগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের রেজিয়া বেগম, কোহিনুর ইসলামসহ ১৪ জন গ্রাহকও তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে পারেননি। আরো অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে অসহায়।

সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিটি ছিল মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পারিবারিক কোম্পানি। তার বোন রুবিনা হামিদ ছিলেন এর চেয়ারম্যান। ২০২৩ সালে গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছে তাদের শেয়ার বিক্রি করা হয়।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, সানলাইফ ইন্সুরেন্সের বিরুদ্ধে অনেক গ্রাহকের অভিযোগ এসেছে, তবে সাটুরিয়া উপজেলা থেকে কোনো অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি। তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

এটি একটি বড় ধরনের প্রতারণা এবং গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ তাদের জমা করা টাকাগুলো ফেরত পাননি।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে