ঢাকা, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে শেখ পরিবারের বিতর্কিত চুক্তি

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৬ ০৯:৪৭:২১
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে শেখ পরিবারের বিতর্কিত চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক্সপোর্ট সার্ভিসেস কুয়ালালামপুর লিমিটেড (ইএসকেএল), শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বর্তমানে নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কোম্পানিটির ৩০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আমেরিকান নাগরিক মোহাম্মদ তাবিথ আউয়াল। তাঁর উপস্থিতি নিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে, এবং একে কেন্দ্র করে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

ইএসকেএল-এর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর বর্তমান সরকার কর্তৃক বিতর্কিত এই প্রতিষ্ঠানটি আবারও কাজের অনুমোদন পেয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ কিছু প্রশ্ন উঠলেও, রহস্যময় তাবিথ আউয়াল এর মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাবিথ আউয়াল, যিনি মালয়েশিয়ায় প্রবাসী হলেও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে তাঁর সংযোগ ও সংশ্লিষ্টতার কারণে বিশেষভাবে পরিচিত, এবং তার আগমন যেন এক নতুন কৌশলের অংশ।

এখানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ কিছু কার্যক্রমের জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলি গ্রহণ করেছে, যেগুলোর মধ্যে ই-পাসপোর্ট এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডার ছাড়াই তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যা অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এরপর, গত ডিসেম্বরে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেও তাবিথ আউয়াল যোগ দেওয়ার পর হাইকোর্টের আদেশে এই চুক্তি পুনরায় কার্যকর করা হয়।

তাবিথ আউয়াল, যিনি ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর কোম্পানির পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন, মালয়েশিয়ায় ব্যবসায়িক অবস্থান গড়ে তোলেন এবং তার মাধ্যমে ইএসকেএল আবারও সরকারি সেবা কার্যক্রমে ফিরে আসে। এই সময়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে এবং বিভিন্ন অভিযোগের মাধ্যমে ইএসকেএল-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সবার অজান্তে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করেছেন। ইএসকেএল এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর হয়েছে, যা আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পুনরায় অনুমোদনের পর প্রবাসীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রসেসের জন্য হাইকমিশনের স্থাপিত যন্ত্রপাতি এক সময় এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়াও, গোপন অভিযোগে অভিযোগ এসেছে যে, মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের হয়ে ওঠা হালকা ভোগান্তি ও মনগড়া ফি আদায় করা হয়েছিল, যা প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অপেশাদারিত্বকে প্রমাণ করে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেও, বর্তমান সরকার এখনও চুক্তি বাতিল করে পুনরায় প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম চালানোর অনুমোদন দিয়েছে, যা নিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা এবং বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে