ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

মেডিক্যালে ৪১ পেয়েই চান্স, ৭০ পেয়েও কাঁদছেন অনেকেই

২০২৫ জানুয়ারি ১৯ ২৩:১৮:৩৪
মেডিক্যালে ৪১ পেয়েই চান্স, ৭০ পেয়েও কাঁদছেন অনেকেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এবারের পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ, যেখানে অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী এবং মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে ক্ষায় মাত্র ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

মূলত মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বিভিন্ন কোটা সংরক্ষণের কারণে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন না।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৫৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মোট ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০। পাস করার পর মুক্তিযোদ্ধা ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর উপজাতি শিক্ষার্থীরা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হচ্ছেন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আলোচনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, কোটা সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।

এদিকে, ৪১ নম্বর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা অভিযোগ তুলেছেন, কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকা সমগ্র ছাত্র সমাজের জন্য অবিচার সৃষ্টি করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়ে একাধিক পোষ্ট ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম লিখেছেন, "ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কোটার মাধ্যমে শোষণ চলমান।"

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকারও ৪১ নম্বর পাওয়ার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে