ঢাকা, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বিদেশে যাওয়ার 'স্মার্ট কার্ডটি' নকল কিনা বুঝবেন যেভাবে

২০২৪ ডিসেম্বর ২৫ ১৪:৪৯:২৬
বিদেশে যাওয়ার 'স্মার্ট কার্ডটি' নকল কিনা বুঝবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে বৈধভাবে কাজ করার প্রক্রিয়া সম্প্রতিকালে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কিন্তু এর সাথে কিছু চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা জড়িত। বিএমইটি (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) নিবন্ধন প্রক্রিয়া, স্মার্ট কার্ড প্রদান এবং বিদেশে কাজের সুযোগ সংগ্রহের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা করা হলে এটি উপকারী হতে পারে।

তবে, দুঃখজনকভাবে, কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং প্রতারকরা এই প্রক্রিয়ার অসুবিধাগুলি কাজে লাগিয়ে জাল বিএমইটি স্মার্ট কার্ড তৈরি করে। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশি শ্রমিকরা, যারা বৈধভাবে বিদেশে যেতে চান।

তবে আপনার বিএমইটি স্মার্ট কার্ডটি নকল বা জালিয়াতি করে তৈরি কিনা তা আগে থেকেই জানা যাবে। এর জন্য ‘আমি প্রবাসী’ মোবাইল অ্যাপ যেতে হবে। গুগল ক্রম মাধ্যমেও সেই অ্যাপে প্রবেশ করা যায়। অ্যাপে প্রবেশ করার পর পাসপোর্ট নাম্বার দিলেই আপনার বিএমইটি কার্ডটি সঠিক কিনা তা দেখা যায়। যদি তথ্য ভুল থাকে বা জালিয়াতি করা হয় সেটিও বোঝা যাবে। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা বিদেশগামীরা অনেক সময় এই কার্ড জালিয়াতির শিকার হয়। পরে তাদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

মূলত জালিয়াতি চক্র অনেক সময় একজন ব্যক্তির ছবি ও তথ্য ব্যবহার করে একাধিক স্মার্ট কার্ড নকলভাবে তৈরি করে। সেই কার্ডগুলো দিয়েই বিদেশগামীদের বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কার্ডটির তথ্য যাচাই করে ভুয়া বলে শনাক্ত করে। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে বিএমইটি স্মার্ট কার্ডটি সঠিক কিনা সেটি জানাটা জরুরি।

কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যেতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক। এই ক্লিয়ারেন্সের জন্য বিদেশগামী কর্মীরা পান একটি ইমিগ্রেশন স্মার্ট কার্ড। এই কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে সর্বমোট ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা ছিল। এই ফি বাতিল করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

গত ১ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের কর্মসংস্থান অনুবিভাগের উপসচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডলের সই করা এক চিঠিতে একথা জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে বিএমইটির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানে অভিবাসন ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে নির্ধারিত ইমিগ্রেশন কার্ড (স্মার্ট কার্ড) ফি বাবদ ২৫০ টাকা এবং স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি বাবদ ২৫০ টাকাসহ সর্বমোট ৫০০ টাকা আদায় বাতিল করা হলো। কোনও ফি ছাড়াই কিউআর কোড সম্বলিত বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু অব্যাহত থাকবে এবং অনলাইনে নিশ্চিত তথ্যাদি থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

তারিক/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে