ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

আরও কঠোর হচ্ছে সরকার, নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

২০২৪ জুলাই ১৭ ১২:১১:৫৪
আরও কঠোর হচ্ছে সরকার, নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, কোটাবিরোধীদের হঠকারিতার কারণেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঘিরে হঠাৎ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের চড়াও হওয়াকে উসকানির প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন তারা।

নিজেদের সাধারণ শিক্ষার্থী দাবি করলেও কোটার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনে ছাত্রদল ও শিবিরকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলেও মনে করছে ক্ষমতাসীনরা।

আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা না করে সহিংসতা অব্যাহত রাখা হলে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো দুষ্টচক্র যদি আন্দোলনে ইন্ধন দেয়, তবে আমরাও তা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হবে।’

সরকারদলীয় নেতারা বলছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে মাঠে থাকলেও কোটাবিরোধী আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। কিন্তু গত সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে আক্রমণের মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উসকে দিয়েছে।

অথচ এই কয়েক সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলেছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো বিবাদ হয়নি।

তারা বলছেন, কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্য সমাধান দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে বিকৃত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্লোগান এবং সর্বশেষ সোমবার আন্দোলনকারীদের আটকে রাখার গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে আকস্মিক হামলা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে। এই আন্দোলনকারীদের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষে কথা বলছে। এটা স্পষ্ট, এর পেছনে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত। ছাত্রলীগকে দোষ দেওয়া যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সব দোষই যেন নন্দ ঘোষ ছাত্রলীগের।’

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শুরু থেকেই তারা এই আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছিলেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস পথে মোড় নিতে থাকে ছাত্রদল-শিবিরকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানের মাধ্যমে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের উসকে দিয়েছে।

তারা জানান, এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’-এমন বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের উসকে দিয়েছে সেই চক্রটি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনভর দফায় দফায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে কোটা আন্দোলন মোকাবিলায় সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের শাখার নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় পাহারায় থাকতে বলা হয়েছে।

তারিক/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে