পরিবেশবান্ধব কারখানায় বিশ্বে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে দিনি বাড়ছে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা। বিশ্বের ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৫৬টি বাংলাদেশে রয়েছে। অনেক ধাক্কা সামাল দিয়ে এক দশকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাত। বিশ্বে হয়েছে রোল মডেল।
গ্রিন ফ্যাক্টরি কী?
সকালে শ্রমিকরা একটি কারখানায় প্রবেশ করে। যাদের জন্য তাদের কর্মক্ষেত্র সন্ত্রাসের জায়গা নয়, আরামের জায়গা। যেখানে বসে প্রকৃতির তাজা বাতাস নিতে পারবেন। ভারী যন্ত্রপাতির ভিড়েও যেখানে প্রকৃতির কোনো তাপ অনুভব হয় না।
গ্রিন ফ্যাক্টরির চিত্র এমনই। গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব কারখানা। যে কারখানায় উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তবে পরিবেশের ক্ষতি করে নয়।
পুরো বিশ্বের পরিবেশই যখন প্রতিনিয়তই উন্নত বিশ্বের কারণে দূষিত হচ্ছে তখন পোশাক খাতের যেসব ক্রেতা আছেন তারা চাচ্ছেন পোশাক কারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব ভাবে গড়ে উঠুক। কারখানার খারাপ প্রভাব পরিবেশের গায়ে না লাগুক।
এরই ধারাবাহিকতায় ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) নামক একটি প্রতিষ্ঠান কোন স্থাপনা বা ভবনের পরিবেশগত কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভাইরোনমেন্ট ডিজাইন বা লিড নামক একটি সার্টিফিকেশন পদ্ধতি প্রবর্তন করে। যার মাধ্যমে কারখানাটি পরিবেশবান্ধব কিনা যাচাই করা হয়।
গ্রিন ফ্যাক্টরির প্রকারভেদ
মোট চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করে গ্রিন ফ্যাক্টরির সনদ দেয়া হয়। পরিবেশবান্ধব স্থাপনার শর্তগুলো কতটা মানা হয়েছে তা পরীক্ষা করে ইউএসজিবিসি সনদ প্রদান করে। মোট ১১০ পয়েন্টের মধ্যে যাচাই করা হয়।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ক্যাটাগরি হচ্ছে প্লাটিনাম। যার জন্য ১১০ এর মধ্যে পেতে হয় ৮০’র বেশি পয়েন্ট।
এরপরের ক্যাটাগরি গোল্ড। যে ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হলে থাকতে হয় ৬০-৬৯ পয়েন্ট। এরপর আসে সিলভার ক্যাটাগরি তার জন্য থাকতে হয় ৫০-৫৯ পয়েন্ট।
আর সবশেষ ক্যাটাগরি সার্টিফাইড ক্যাটাগরি। তার জন্য থাকতে হয় ৪০-৪৯ পয়েন্ট।
কীভাবে নির্ধারিত হয়?
এই পয়েন্টগুলো নির্ধারণের জন্য আবার শর্ত থাকে। লিড কারখানার স্বীকৃতি পেতে হলে বেশ অনেকগুলো শর্ত পালন করতে হয়। সবার আগে প্রাধান্য দেয়া হয় কারখানা তৈরিতে যে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার হয়েছে তাতে যেন কার্বন নিঃসরণ কম হয়।
এ ছাড়া ইট, সিমেন্ট ও অন্যান্য সামগ্রী পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে কিনা।
সব উপকরণ কারখানার সবচেয়ে কাছের প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়েছে কিনা। কারণ, এতে পরিবহনের জন্য জ্বালানি কম খরচ হয়। যেখানে কারখানা হবে তার নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে শ্রমিকদের বাসস্থান, স্কুল, বাজার, বাস বা টেম্পো স্ট্যান্ড থাকতে হবে।
কারণ দূরে হলেই শ্রমিকদের কারখানায় আসতে গাড়ির প্রয়োজন হবে। এতে জ্বালানি খরচের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হবে।
১১০ পয়েন্টকে আবার সাতটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে এই সার্টিফিকেশন দেয়া হয়। সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় প্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহারকে। এর জন্য বরাদ্দ থাকে ৩৫ পয়েন্ট। এরপর সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট জমির ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। এর জন্য বরাদ্দ আছে ২৬ পয়েন্ট।
অভ্যন্তরীণ পরিবেশের জন্য থাকে ১৫ পয়েন্ট, পরিবেশ বান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের জন্য থাকে ১৪ পয়েন্ট। পানি সাশ্রয়ের জন্য থাকে ১০ পয়েন্ট। অতি সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত যন্ত্রের ব্যবহারের জন্য ৬ পয়েন্ট এবং এলাকাভিত্তিক প্রাধান্যের জন্য ৪ পয়েন্ট।
এছাড়াও বেশ কিছু শর্ত থাকে। যেমন- কারখানায় সূর্যের আলোর কী পরিমাণ ব্যবহার হয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার করা হয় কিনা, সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি ব্যবহার করা হয় কিনা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা হয় কিনা, কারখানা নির্মাণে নির্দিষ্ট পরিমাণ খোলা জায়গা রাখা হয়েছে কিনা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে কিনা, বৈদ্যুতিক ফিটিংস স্থাপন ছাড়াও অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।
এমন আরও সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়কে যাচাই করা হয় লিড সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য। মোট কথা একটি পোশাক কারখানা তার নিয়মে কাজ করবে তবে সেখানে কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা থাকতে, পরিবেশের নিরাপত্তা থাকতে হবে। আর এর ওপর নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা সেই কারখানার পোশাক কিনবে কি কিনবে না।
বাংলাদেশের সফলতা
এবার আসি বাংলাদেশের সফলতার গল্পে। তবে সফলতায় আসার আগে সেই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করতে হবে। ২০১২-১৩ সেই সময়টা বাংলাদেশের পোশাক খাতের ইতিহাসের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় বলা যায়।
তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ড ও রানাপ্লাজা ধসে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। বাংলাদেশি পণ্য বয়কটের ডাক ওঠে।
এরপরই মূলত ঘটে সবুজ বিপ্লব। যা বাংলাদেশের পোশাক খাতকে বিশ্ব-দরবারে নতুন করে হাজির করে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের পোশাক আবার ফিরে পেতে থাকে গ্রহণযোগ্যতা।
শুধু তাই নয়, এরপর আর বাংলাদেশের ধারে কাছে আসতে পারেনি বিশ্বের অন্য কোনো দেশ।
বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ২১৮টি লিড কারখানা আছে। যার মধ্যে প্লাটিনাম ৮৪টি, গোল্ড ১২০টি, সিলভার ১০টি, সার্টিফাইড ৪টি। বিশ্বসেরা ১০০টি কারখানার মধ্যে ৫৬টিই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের পরে আছে পাকিস্তান তবে সে সংখ্যা মাত্র ৯ টি। আবার প্রথম ১০ টির মধ্যে ৮ টি বাংলাদেশের কারখানা। বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মত।
গ্রিন ফ্যাক্টরি হয়ে লাভ কী?
অতিরিক্ত খরচ করে, কারখানাকে পরিবেশ বান্ধব করে পরিবেশের অনেক লাভ হচ্ছে তা ঠিক, তবে ব্যবসায়ীদের কী লাভ? পরিবেশ বান্ধব কারখানা তৈরিতে অতিরিক্ত খরচ যদি হয়ও সেই খরচটাকে ব্যবসায়ীরা দেখতে পারে বিনিয়োগ হিসেবে। কারণ বর্তমানে পরিবেশবান্ধব কারখানায় পণ্য তৈরি হওয়া মানে বিশ্ববাজারে একধাপ এগিয়ে থাকা।
পোশাক খাতের ক্রেতারা অর্ডার করে এই গ্রিন ফ্যাক্টরি দেখে। তিনি যেই পণ্যটি কিনছেন সে পণ্য তৈরিতে পরিবেশের বা কর্মীর কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা এটা আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বড় বিষয়।
তাই পরিবেশ বান্ধব কারখানাগুলোর আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রহণযোগ্যতাও বেশি থাকে। স্বাভাবিকভাবে লাভের হিসেবের পাল্লা তাদেরই ভারী থাকবে।
শেয়ারনিউজ, ০৫ জুন ২০২৪
পাঠকের মতামত:
- বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই যেসব হেভিওয়েট নেতাদের নাম
- সিএসই–৫০ সূচক পুনর্গঠন: তিনটি যোগ, তিনটি বাদ
- বিএনপির ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ
- ঢাকায় বিএনপির প্রার্থী যারা
- যে আসন থেকে লড়বেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন
- দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাত, বেক্সিমকোর সালমানসহ আসামী ৩৪ জন
- আগে হজ নাকি ওমরাহ, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর জীবন থেকে জেনে নিন আসল বিধান
- যে ৩ আসনে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়া
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষক পদ বাতিল
- ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে দেশি-বিদেশি ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন
- তিন প্রজ্ঞাপনে ২৭৩ পুলিশ অফিসারের বড় পদোন্নতি
- এক প্যাকেট সিগারেট = ৫ আনা স্বর্ণ!
- ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- দলীয় সংকীর্ণতা ত্যাগের ডাক দিলেন ডাকসু ভিপি
- ডিভিডেন্ড পেলো বিনিয়োগকারীরা
- ডিবিএ নির্বাচনে ১৫ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
- ১০টি যিকির হাটতে উঠতে বসতে শুয়ে থাকতে সর্বাবস্থায় করবেন
- প্রবাসী ও জেলখানার ভোটারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সিইসির
- যাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামী
- ডিএসইতে বড় ধরনের পতন, বিনিয়োগকারীরা হতাশ
- ০৩ নভেম্বর ব্লকে পাঁচ কোম্পানির বড় লেনদেন
- ০৩ নভেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ০৩ নভেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ০৩ নভেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম
- যে দেশের নারীরা দখল করছে বিশ্বের ১১% স্বর্ণ
- ঘাটতি সত্ত্বেও ট্রাস্ট লাইফ ফান্ডে ৪৯ কোটি টাকার শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি
- ফের স্বর্ণের দামে বড় ধাক্কা
- ২ লাখ শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন
- বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমে বাংলাদেশি তিনজন
- নতুন অর্থ বছরে মেঘনা লাইফের তহবিল বেড়েছে ১৪ কোটি
- ২১ বছরের নিচে কেউ ধূমপান করতে পারবে না
- আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা
- নতুন পে–স্কেলে শুরু হচ্ছে বড় পরিবর্তন
- ফুটবলের আড়ালে যুদ্ধবাজ আমিরাতি যুবরাজ শেখ মনসুর
- দুই ব্রোকারেজ হাউজের সনদ বাতিল
- বিএনপির বড় ঘোষণা দিলেন তারেক রহমান
- ১৫ টি আসনে বিএনপির চুড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন যারা
- ৪ দপ্তরে নতুন সচিব নিয়োগ
- ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২৫% ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- একদিনেই মনোস্পুলের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি
- মামদানির নির্বাচনী সাফল্যে ওবামার হট লাইন
- আইএসএন-এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ডাচ-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার অভিযোগ
- আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা
- সারা দেশের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- তথ্যপ্রযুক্তির দুই কোম্পানি হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের
- এনসিপির বড় পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন নাহিদ ইসলাম
- “শাপলা কলি” প্রতীক পছন্দের কারণ জানালেন এনসিপি
- তথ্যপ্রযুক্তির তিন কোম্পানির ডিভিডেন্ড স্থিতিশীল
- জানা গেলো পে স্কেল ঘোষণার সময়
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবরের বন্যা
- ৩ কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- ডিএসইর দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
- দেখে নিন ২০ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ইসলামী ব্যাংকিংয়ে ‘মুনাফা’ এবং সাধারণ সুদের মধ্যে বড় পার্থক্য
- ৪০ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- কলকাতায় মেসির থালায় যা যা থাকবে দেখে নিন একনজরে
- আবারো ভাঙা হবে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে
- RSI বিশ্লেষণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ৬ শেয়ার
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
- আইপিওতে বদলে যাচ্ছে কোটা: সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুযোগ নামছে অর্ধেকে
- টেকনো ড্রাগসের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ইসলামী ব্যাংক-ইবনে সিনা নিয়ে বিতর্কে জামায়াতের ব্যাখ্যা














