ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

‘শাখা থেকে শাখায় ঘুরছেন গ্রাহকরা, মিলছে না টাকা’

২০২৪ মে ১৭ ১২:০৭:৩৬
‘শাখা থেকে শাখায় ঘুরছেন গ্রাহকরা, মিলছে না টাকা’

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়ম আর ঋণ কেলেঙ্কারিতে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটি এখন গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। গ্রাহকরা এক শাখা থেকে আরেক শাখায় টাকার জন্য ধর্না দিচ্ছেন, কিন্তু তাদের টাকা মিলছে না ।

মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হয়েছে ‘শাখা থেকে শাখায় ঘুরছেন গ্রাহকরা, মিলছে না টাকা’।

খবরটিতে বলা হয়েছে, তীব্র তারল্য সংকটে পড়েছে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড। এতে বলা হয়, বর্তমানে ক্রাইসিস আরও নিম্নগামী হওয়ায় কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকটি।

অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, পাঁচ হাজার টাকার চেক দিলে ব্যাংকটির একটি শাখাও গ্রাহককে টাকা দিতে পারছে না। কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ হচ্ছে ধাপে ধাপে।

সবমিলিয়ে নগদ টাকার সংকটে নতুন ঋণ বিতরণও বন্ধ। টানা লোকসান, মূলধন ঘাটতি ও উচ্চ খেলাপি ঋণে খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকটি।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো অর্থ ধারও করতে পারছে না বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক যে, তাদের এমন কোনো সিকিউরিটিজ নেই, যার বিপরীতে অন্য ইসলামী ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করতে পারবে।

নানা অব্যবস্থাপনায় বিতরণ করা ঋণ পরিশোধ হচ্ছে না। খেলাপিতে হাবুডুবু খাচ্ছে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যাপারে তাঁরা অসহায়। ব্যাংকে ক্যাশ টাকা না থাকায় চাহিদানুযায়ী সেবা দিতে পারছেন না তারা। গ্রাহকদের ধৈর্য্য ধরার কথা বলছেন তারা। তবে, গত সপ্তাহে গ্রাহকদের বলা হয়েছিলো রোববাব থেকে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।

মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট রোডে অবস্থিত আইসিবি ইসলামি ব্যাংকে বুধবার সরেজমিনে গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রমজান মাস থেকে আইসিবি ব্যাংকে ক্যাশ টাকা উত্তোলনে সমস্যা হচ্ছে। সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করতে পারছেন না গ্রাহকরা। কাউকে ৫ হাজার কারো হাতে ১০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

ফলে, যেসব গ্রাহকরা ব্যবসায়িক বা অন্যান্য কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা তুলতে আসছেন তাদেরকে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডাও হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রাহকদের।

নগদ টাকার সংকটে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা

শরিয়াহভিত্তিক আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখাটিতে ক্যাশ টাকা সংকটে দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিন গ্রাহকরা টাকা তুলতে এসে হতাশ হয়ে ফিরছেন খালি হাতে। ফলে, উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এ ব্যাপারে তাঁরা অসহায়। ব্যাংকে ক্যাশ টাকা না থাকায় চাহিদানুযায়ী সেবা দিতে পারছেন না তারা। গ্রাহকদের ধৈর্য্য ধরার কথা বলছেন তারা। তবে, গত সপ্তাহে গ্রাহকদের বলা হয়েছিলো রোববাব থেকে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও সমস্যা সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।

মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট রোডে অবস্থিত আইসিবি ইসলামি ব্যাংকে বুধবার সরেজমিনে গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রমজান মাস থেকে আইসিবি ব্যাংকে ক্যাশ টাকা উত্তোলনে সমস্যা হচ্ছে। সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করতে পারছেন না গ্রাহকরা। কাউকে ৫ হাজার কারো হাতে ১০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

ফলে, যেসব গ্রাহকরা ব্যবসায়িক বা অন্যান্য কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা তুলতে আসছেন তাদেরকে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডাও হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রাহকদের।

ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে এসেছেন প্রবাসী লিমন আহমদ বলেন, ‘আমি বিদেশ থেকে ব্যাংকে আমার একাউন্টে টাকা জমা রাখছিলাম। এখন দেশে আসছি, ঈদের পর থেকে তাঁরা (ব্যাংক কর্মকর্তা) আমাকে টাকা দিতে পারছে না৷ ২ লাখ টাকার চেক দিয়েছি তারা ১০ হাজার টাকা দিয়ে বলতেছে কিছু দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

একই ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছে চেরাগ আলী জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাঁরা (ব্যাংক কর্মকর্তা) কাল পরশু করে তারিখ করছে। বলছিলো গত রোববার থেকে ব্যাংকে টাকা আসবে৷ কিন্তু আজ বুধবার চলে যাচ্ছে টাকা আসেনি৷ নিজের একাউন্টে টাকা রেখে সময়মতো পাচ্ছি না৷ গত একমাস ধরে তাঁরা আমার সাথে এমন করছে৷

আরেক গ্রাহক বিষ্ণু দেব নামের একজন গ্রাহক। তিনি ষোলো লাখ টাকা উত্তোলন করতে এসেও তুলতে পারেন নি। ব্যাংক কর্মকর্তারা তাঁকেও সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা তোলার জন্য বলেন। কিন্তু, দশ হাজার টাকায় তাঁর কিছুই হবে না বলে জানান তিনি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজারে আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত এক মাস ধরে আমাদের ব্যাংকে টাকা ছাড় পাচ্ছি না৷ তাই গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে। মালিক পক্ষ চেষ্টা করছে এই সমস্যা সমাধানের। দ্রুতই এই সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে গ্রাহকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত টাকা পাবেন৷’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকার চাহিদা রয়েছে৷ প্রতিদিন যে চেক আসছে তার বিপরীতে ৫-১০ হাজার টাকা করে ছাড় দিচ্ছে হেড অফিস৷ আমরা গ্রাহকদের এর থেকে বেশি সেবা দিতে পারছি না৷’

কেন্দ্র থেকে ব্যাংকের এই শাখায় টাকা না পাঠানোয় এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। তবে, এই সমস্যা সাময়িক, সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে গড়ে ওঠে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। কয়েক বছর ধরে ব্যাংকটি লোকসানে আছে এবং ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকটির ১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে ৭৯০ কোটি ৪ লাখ টাকা বিতরণ করা ঋণের (বিনিয়োগ) ৮৭ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণের তালিকায় রয়েছে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, কারণ তারল্য সংকটে ধুঁকছে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি।

শেয়ারনিউজ, ১৭ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে