ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

হামলার ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার বাংলাদেশি

২০২৪ মে ০৩ ২২:৪৯:৩৩
হামলার ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে হাজার হাজার বাংলাদেশি

প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় চার দিন আগে বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাফেলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে হামলার আশঙ্কা এখনো কাটেনি।

প্রবাসীরা এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানালেও পুলিশ বিভাগ তা বাস্তবায়ন করেনি। ফলে হাজার হাজার বাংলাদেশি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

বাফেলোর আবাসন ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, গত ১০ বছরে নিউইয়র্ক সিটিসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় অর্ধ লাখ বাংলাদেশি বাফেলোতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এখানে স্বল্পমূল্যের বাড়ি কিনে সেগুলো মেরামত করে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।

বাংলাদেশির গুলিতে মারা যাওয়ার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) বন্দুকধারীর গুলিতে আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৩) ও বাবুল মিয়া (৫৮) নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেন না। কর্মক্ষেত্রে সবসময় একটা ভয় থাকে।

তিনি বলেন, কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের বাংলাদেশিদের বাড়ির অধিকাংশ ভাড়াটিয়া মাসের পর মাস ভাড়া পরিশোধ না করে মালিকদের হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা সব সহ্য করছি। ভাড়া আদায়ের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাফেলো প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

আবুল বাশার বলেন, বাফেলোতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করলেও এখানে কোনো ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায় নেই। সবাই নেতা হতে ব্যস্ত। কোনো অনুষ্ঠান হলে সবাই বক্তৃতা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই ঐক্যবদ্ধ জনগোষ্ঠী গড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের আহ্বান জানান তিনি।

গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) বন্দুকধারীর গুলিতে সিলেটের কানিঘাট উপজেলার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৩) ও কুমিল্লার বাবুল মিয়া (৫৮) নিহত হন। বাবুল মিয়া সপরিবারে মেরিল্যান্ডে থাকতেন।

তিনি সম্প্রতি বাফেলোতে একটি বাড়ি কিনেছেন। আর ইউসুফ গত ডিসেম্বরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাফেলোতে আসেন স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য।

গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ডেল ও’ কামিংস নামে ৩১ বছর বয়সী বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাফেলোর আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় তারা বদ্ধপরিকর।

পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়া জানান, আগের চেয়ে সেখানে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা অ্যাটর্নি জে কিন বলেন, ডেল কামিংসের বিরুদ্ধে বাফেলো ফৌজদারি আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি গৃহহীন। কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা না থাকায় তিনি কোনো মামলায় হাজির হননি। হত্যাকাণ্ডের সময় তাকে সিসিটিভিতে দেখা যায়।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি বলেন, অস্ত্রটি ছিল বেআইনি। দুই বাংলাদেশিকে হত্যায় সেটি ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

বেআইনি অস্ত্র বহনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ডেল কামিংসের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এমন মতামত জানিয়ে জে কিন বলেন, আর জোড়া খুনের ঘটনার দোষী সাব্যস্ত হলে আজীবন তাকে কারাগারে থাকতে হতে পারে।

শেয়ারনিউজ, ০৩ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে