ঢাকা, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কা আর্থিক খাতের ১২ কোম্পানির

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৭:৩৮:২৩
ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কা আর্থিক খাতের ১২ কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক : লোকসানে থাকায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের ১২ কোম্পানির ডিভিডেন্ড নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর লোকসান দেখা যায়। আগের অর্থবছরে একই সময়ও কোম্পানিগুলোর লোকসান হয়েছিল। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা নির্ভর করে কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। কোনো কোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোম্পানির আয় বাড়লেও ডিভিডেন্ড কমে যায়। আয় কমলেও ডিভিডেন্ড বেড়ে যায়। আবার লোকসানে থাকলেও শেয়ারহোল্ডররা কোনো কোনো বছর ডিভিডেন্ডের ভালো ডিভিডেন্ডের দেখা পায়।

লোকসানে থাকা ১২ কোম্পানি হলো- বে-লিজিং লিমিটেড, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস, ইসলামিক ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্ট, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, ফাস ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, প্রিমিযার লিজিং এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড।

ফিনিক্স ফাইন্যান্স

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসান দেখিয়েছে ফিনিক্স ফাইন্যান্স লিমিটেড। সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ২৩ টাকা ৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য মাইনাস ১৩ টাকা ৮৯ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বে লিজিং লিমিটেড

অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ০৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে তা ২ টাকা ৮৩ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল মাইনাস ১৬৫ টাকা ২৭ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ইসলামিক ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্ট

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুনুয়ারি,২২-সেপ্টেম্বর,২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭ পয়সা।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯২ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১১ টাকা ৮৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

মাইডাস ফাইন্যান্স

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে তা ২ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৭ টাকা ৭৮ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২২ সালে ১.০৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ফার্স্ট ফাইন্যান্স

অর্থবছরের তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৪৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৬৬ পয়সা ইপিএস হয়েছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল ৩১ টাকা ৮৬ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

প্রিমিয়ার লিজিং

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে তা ৬ টাকা ৩২ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল মাইনাস ২৪ টাকা ৪ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ইউনিয়ন ক্যাপিটাল

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে তা ৫ টাকা ৪৬ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল মাইনাস ২৩ টাকা ২৫ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বিআইএফসি

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে তা ৬ টাকা ৩৭ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল মাইনাস ১১৯ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৩ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ফাস ফাইন্যান্স

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে তা ১৭ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল মাইনাস ৯৯ টাকা ৭৫ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

প্রাইম ফাইন্যান্স

অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৩-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৮ টাকা ৮৯ পয়সা।

কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ফ্লোর থেকে অনেক দূরে ডিভিডেন্ডের চার শেয়ার

শেয়ারনিউজ, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে