ঢাকা, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

কোটা আন্দোলনের পঞ্চম বছরেও থামেনি হয়রানি

২০২৩ এপ্রিল ০৮ ১৩:৩৪:০৯
কোটা আন্দোলনের পঞ্চম বছরেও থামেনি হয়রানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে মেতে ওঠে দেশের ছাত্র সমাজ। এতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ নামে সংগঠনটি। আন্দোলনের মূল দাবি ছিল কোটা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া। এই আন্দোলনে ছাত্র সমাজের তোপের মুখে পড়ে দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় সরকার। কিন্তু মৌখিক ভাবে এই দাবি মেনে নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার।

কিন্তু সরকারের মৌখিক আশ্বাস দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে নানা ধরনের হয়রানি করে চলেছে। অসংখ্য ছাত্র এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ভাবে হামলার শিকার হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অসংখ্য ছাত্র। এদের মধ্যে অনেকেরই ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে। অনেকেই আবার পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

এছাড়াও যারা এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলো তাদের অনেকেই বিভিন্ন মামলার শিকার হয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে মাইনুল ইসলাম, রোমান সরকার, মোঃ জাবেদ হোসেন, তসলিম উদ্দিন, আশরাফুজ্জামান রাজু, মাহফুজুর রহমানসহ আরও অনেকেই।

এছাড়াও কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িত অনেক নেতৃবৃন্দকে আটক করে বিভিন্ন মামলায় জেলে পাঠানোর হয়েছে। এদের কাউকেই জামিন দেওয়া হয়নি। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে শাখাওয়াত হোসেন, ইমরান হোসেন, তরিকুল ইসলাম, আলী হোসেন এবং সাব্বির আহমেদ সৌনক প্রমূখ। এছাড়াও অনেক নেতৃবৃন্দকে গুম করা হয়েছে। যাদের সন্ধান আজও পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, এই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ‘পুলিশের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে হামলা’, ‘সরকারি কাজে বাধা’ এবং ‘নাশকতা’র অভিযোগ করা হয়। বর্তমানে এ চারটি মামলা তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। পাঁচ বছরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪১ বার সময় নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তদন্ত সংস্থা এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘মামলাগুলোর তদন্ত চলছে, শেষ হলেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ চার মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের মোট ২০ নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছে।

কোটা সংস্কারের এই আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ শুরুতে এটা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের আন্দোলন৷ পরে এটা সামগ্রিকভাবে কোটা বাতিলের আন্দোলনে পরিণত হয়৷ আর বর্তমানে এটা কোটা সংস্কারের আন্দোলনের রূপ নিয়েছে৷ দেশের মাত্র ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ মানুষের জন্য ৩৬ শতাংশ কোটা রয়েছে৷ জেলা কোটা ও নারী কোটাসহ মোট কোটা ৫৬ শতাংশ৷ কিন্তু এই কোটাগুলোর ১০ ভাগের বেশি পুরণ হচ্ছে না৷ তাই আন্দোলনকারীদের দাবি, সর্বোচচ ১০ ভাগ কোটা রেখে কোটা সংস্কার করা হোক৷

শেয়ারনিউজ,০৮ এপ্রিল ২০২৩

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর



রে