ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

দুর্বল ৬ ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

২০২৪ ডিসেম্বর ২৭ ২২:৩৭:৪৭
দুর্বল ৬ ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচিত এস আলম গ্রুপের কব্জায় থাকা দুর্বল ৬ ব্যাংককে সবল করতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন করে টাকা ছাপিয়ে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ঋণ সহায়তা দিয়েও ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট মেটানো যাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো আরও তারল্য সহায়তা চাচ্ছে।

এদিকে, দুর্বল ব্যাংকগুলো যেন কোনভাবেই আমানত সংগ্রহ বাড়াতে পারছে না। এখন চড়া দামে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে রয়েছে আইএমএফের চাপ। তারা খেলাপি ঋণ কমাতে, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আরও কঠোর করতে চাপ দিচ্ছে। প্রচলিত সংজ্ঞায় খেলাপি ঋণ বেড়ে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে খেলাপি ঋণের আন্তর্জাতিক মানের সংজ্ঞা কার্যকর হবে। তখন জুন প্রান্তিকে গিয়ে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোতেই খেলাপি ঋণ বেশি বাড়ছে। কারণ, লুটপাট হওয়া টাকা আদায় হচ্ছে না। ওইগুলোর বড় অংশ বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওইসব ঋণ এখন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর খেলাপি করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোতেই খেলাপি ঋণ বেশি বাড়ছে। কারণ লুটপাট হওয়া টাকা আদায় হচ্ছে না। ওইগুলোর বড় অংশ বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওইসব ঋণ এখন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর খেলাপি করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রায় সব সূচকে অবনতি ঘটেছে। আমানত কমেছে, তারল্য কমেছে আগের চেয়ে বেশি। গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ৯৮ শতাংশ। এ অবস্থার জন্য ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব ও অনিয়মকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিবেদন বলা হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলো বর্তমানে যে তারল্য সংকট মোকাবিলা করছে তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ব্যাংকগুলোতে ঘটে যাওয়া কিছু অনিয়ম ও সুশাসনের অভাব। সুতরাং দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এটি করা হলে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে। তখন বিদ্যমান সংকট মোকাবিলা করাও সহজ হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত জুনে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতের স্থিতি ছিল ৪৪ হাজার ৩১ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ। বিনিয়োগের স্থিতি বেড়েছে মাত্র ০.৪২ শতাংশ। আগে আরও বেশি হারে বাড়ত। বিনিয়োগ কমায় আমানত ও বিনিয়োগের অনুপাত কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৬৭ শতাংশে।

তবে রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স ও আমদানি বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক বাণিজ্যে ভালো করছে। বাড়তি দামে ডলার কেনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির আওতায় পড়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সবল ব্যাংকও রয়েছে।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে