ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনে চাপে সূচকের ছোট্ট প্রত্যাবর্তন

২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:৩৯:৫৩
বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনে চাপে সূচকের ছোট্ট প্রত্যাবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দরপতনের মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক শুরুতে বড় ধরনের ধাক্কা খেলেও শেষবেলায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দিনশেষে সূচক বেড়েছে সাড়ে ২৯ পয়েন্ট। তবে বাজারে লেনদেন কমে আসায় বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ যে কাটেনি, তা আবারও স্পষ্ট হয়েছে।

চলতি মাসের প্রথম কর্মদিবস ০২ নভেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ১২২ পয়েন্ট। এরপর টানা দরপতনে গত বৃহস্পতিবার সূচক নেমে আসে ৪ হাজার ৭০২ পয়েন্টে। সেদিন ১২৩ পয়েন্ট পতন—ডিএসইতে সাম্প্রতিক সময়ের রেকর্ড দরপতনের একটি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার লেনদেন শুরুর পর সূচক আরও ৮২ পয়েন্ট পড়ে যায়, যা বাজারকে আবারও অতিমাত্রায় অস্থির করে তোলে।

তবে সকালবেলার ধাক্কা ধীরে ধীরে কমে আসে। দিনশেষে সূচক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হলেও অ্যাডজাস্টমেন্ট শেষে স্থিত হয় সাড়ে ২৯ পয়েন্ট উত্থানে। সূচকের এই ইতিবাচক পরিবর্তন বাজারের জন্য স্বস্তিদায়ক হলেও লেনদেনে দেখা যায় বিপরীত চিত্র। আগের দিনের ৩৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বিপরীতে আজ লেনদেন দাঁড়ায় মাত্র ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকায়, যা বিনিয়োগকারীদের দুর্বল অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দেয়।

বাজারে এমন অস্থিরতার মধ্যেই আজ আগারগাঁওয়ে বিএসইসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীদের দশটি সংগঠনের নেতারা। তাঁরা দাবি তুলেছেন শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে কার্যকর নীতিমালা ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের। একই সঙ্গে ঘোষণা করেছেন নতুন একটি সম্মিলিত বিনিয়োগকারী জোট, যা ভবিষ্যতে বাজার-সংক্রান্ত আন্দোলন ও অধিকার রক্ষায় সক্রিয় হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

বিশ্লেষকদের মতে, সূচক ঘুরে দাঁড়ানো বাজারের ইতিবাচক সঙ্কেত হলেও লেনদেন কমে যাওয়ার বিষয়টি এখনও আস্থার সংকটেরই প্রতিফলন। বাজারকে স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।

রোববার বাজার পর্যালোচনা

আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে দেশের মূল শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকে ইতিবাচক গতি দেখা গেছে। দিনের শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯.৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৩২.১৫ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বেড়েছে ৮.১৬ পয়েন্ট, অবস্থান ৯৮৫.১২ পয়েন্টে; আর ডিএসই-৩০ সূচক ৯.২৭ পয়েন্ট যোগ করে উঠেছে ১ হাজার ৮৬০.৫২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৩৬টির দর বাড়ে, ১১৩টির দর কমে এবং ৩৫টির দর অপরিবর্তিত থাকে। ইতিবাচক সূচক সত্ত্বেও বাজারের লেনদেন কমেছে। দিনের লেনদেন দাঁড়িয়েছে ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ৩৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার তুলনায় প্রায় ৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে ছিল নিম্নমুখী প্রবণতা। সিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৪৬ কোম্পানির মধ্যে ৪৭টির দাম বাড়ে, ৮২টির কমে এবং ১৭টির দামে পরিবর্তন হয়নি। দিনের শেষে সিএএসপিআই সূচক ৭৪.৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩২৬.৮২ পয়েন্টে। আগের দিনও এই সূচক বড় ধাক্কা খেয়ে ২১৮.৯৫ পয়েন্ট কমেছিল।

সালাউদ্দিন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে