ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

এনসিপি নেতার অনৈতিক সম্পর্কের কুখ্যাত রেকর্ড হাতেনাতে

২০২৫ অক্টোবর ২৩ ১১:০৭:১৬
এনসিপি নেতার অনৈতিক সম্পর্কের কুখ্যাত রেকর্ড হাতেনাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদারীপুর জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সদস্য মেরাজুল ইসলাম সম্পর্কে অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা, নারীদের প্রতি কুপ্রস্তাব, পরকীয়া, পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও অন্যান্য অভিযোগ উঠেছে। মেরাজুল রাজৈর উপজেলার শংকরদী গ্রামের ফার্নিচার পলিশ মিস্ত্রি সিরাজ বেপারীর ছেলে।

এক ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেরাজুল তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এর আগে মেরাজুল চারটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির জন্য বহিষ্কৃত হন। বর্তমানে এনসিপিতে যোগ দিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসার সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফাঁস হওয়া ৬ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে মেরাজুল এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল কথোপকথন করছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওর পর ওই নারী কল কেটে দেন।

স্থানীয়রা জানান, মেরাজুলের বিরুদ্ধে স্কুল থেকে টাকা চুরি ও নারীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। থ্রি-ডি ডিজিটাল স্কুল, ইকরা স্কুল, কিডস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও মডেল স্কুল থেকে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাণিজ্যে তার সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে।

২০২৩ সালে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এই সময় অভিভাবকদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগও এসেছে।

এছাড়া, মেরাজুল ও তার সহযোগীরা মিথ্যা অভিযোগপত্র দিয়ে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোটি টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মেরাজুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে বহিষ্কার, নারীদের কুপ্রস্তাব ও অবৈধ বালু ব্যবসার কোনো সত্যতা নেই। ভিডিও নিয়ে আমার একটি ফোন হারিয়েছি, ফোনে কি ছিল তা জানি না।"

মাদারীপুর জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আজগর শেখ জানান, "এনসিপি বড় হচ্ছে, কিছু সুবিধাভোগী লোক স্বার্থে যোগ দিচ্ছে। মেরাজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কেন্দ্রকে জানানো হবে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুল হক বলেন, "বালু উত্তোলন নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।"

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "মিথ্যা হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।"

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে