ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

বিএনপির ‘এক পরিবার এক আসন নীতি’তে কপাল পুড়ছে যাদের

২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১০:০৬:৫৪
বিএনপির ‘এক পরিবার এক আসন নীতি’তে কপাল পুড়ছে যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম অর্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যার তফসিল ডিসেম্বরের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইতিমধ্যেই আসন বণ্টনের কাজ প্রায় শেষ করেছে এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনেও তৎপর রয়েছে।

সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো বিএনপির "এক পরিবার এক প্রার্থী" নীতি। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র অনুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির এই নীতি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। যদি দলটি তা বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে এটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরীর মতে, এই নীতি ইতিবাচক হলেও কার্যকর করতে হলে দলের ভেতরে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা জরুরি।

"এক পরিবার এক প্রার্থী" নীতি ঘোষণার পর, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আলোচনায় এসেছেন, যাদের মধ্যে উভয় পরিবারের সদস্যই মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে:

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও তার ছেলে ইরফান ইবনে আমান।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, তার পুত্রবধূ নিপুণ চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং নিপুণের বাবা ও ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানা।

বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও তার মেয়ে মাহরিন খান।

সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল চৌধুরী মিন্টু ও তার ভাই আকবর হোসেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ছেলে ইসরাফিল খসরু।

ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন ও তার ছেলে মীর হেলালউদ্দিন।

এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই পরিবারগুলো থেকে কেবল একজনকেই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জিন্নাত আরা নাসরীন মনে করেন, বিএনপি যদি সত্যিকার অর্থে যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও ত্যাগের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারে, তবে এটি রাজনৈতিক সংস্কারের এক নতুন অধ্যায় খুলবে, যা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে