ঢাকা, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

‘বালিশকাণ্ডে’ চাকরি গেল এক প্রকৌশলীর

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ১২:২৮:৩৯
‘বালিশকাণ্ডে’ চাকরি গেল এক প্রকৌশলীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের গ্রিন সিটি অংশে অস্বাভাবিক ব্যয়ে আসবাবপত্র কেনাকাটার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে এক প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে এবং আরেকজনকে নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনই গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী গণপূর্ত জোনে কর্মরত মো. শাহীন উদ্দিন ও মো. আলমগীর হোসেন ২০১৯ সালে রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের আওতায় ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের কাজে দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয়ের অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, আসবাবপত্র কেনাকাটা ও ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী, মো. শাহীন উদ্দিনকে “অসদাচরণ” প্রমাণিত হওয়ায় বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। একই অভিযোগে মো. আলমগীর হোসেনকে “নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ” গুরুদণ্ড দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, আলোচিত এই প্রকল্পে প্রতিটি বালিশের দাম দেখানো হয় ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর বালিশ খাটে তোলার জন্য দেখানো হয় ৭৬০ টাকা মজুরি। কভারসহ প্রতিটি কমফোর্টারের দাম ধরা হয় ১৬ হাজার ৮০০ টাকা, যা বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, ৩০টি কমফোর্টার বহনের জন্য ৩০ হাজার টাকায় ট্রাক ভাড়া দেখানো হয়, এবং প্রতিটি খাটে তুলতে ২ হাজার ১৪৭ টাকা মজুরি দেখানো হয়। এমনকি চাদর আনতে ও খাটে তুলতেও অতিরিক্ত খরচ দেখানো হয়।

দীর্ঘদিন পর হলেও, এই দুর্নীতির ঘটনায় সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধিমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে এটি গুরুত্ব পাচ্ছে।

কেএইচ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে