ঢাকা, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রী জন্মগতভাবে পুরুষ

২০২৫ জুলাই ২৭ ১৭:১৯:৩১
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রী জন্মগতভাবে পুরুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্রে একটি মানহানির মামলা করেছেন। মামলার আসামি মার্কিন ডানপন্থী ইনফ্লুয়েন্সার ও ধারাভাষ্যকার ক্যান্ডেস ওয়েনস, যিনি সম্প্রতি দাবি করেছেন—ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ জন্মগতভাবে পুরুষ ছিলেন।

ওয়েনস তার পডকাস্ট ও সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, ব্রিজিতের প্রকৃত নাম ছিল জ্যঁ-মিশেল ট্রোগনু, যিনি আসলে ব্রিজিতের বড় ভাই। তার কথিত অনুসন্ধানভিত্তিক সিরিজ "Becoming Brigitte"-এ এই তত্ত্ব তুলে ধরা হয়। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, তবুও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রেসিডেন্ট দম্পতির ব্যক্তিগত জীবন ও সম্মানকে আঘাত করে।

এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার আদালতে ক্যান্ডেস ওয়েনসের বিরুদ্ধে মামলা করেন ম্যাক্রোঁ দম্পতি। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই গুজব নতুন নয়। ২০২১ সালে ফ্রান্সে প্রথমবার এই বিতর্ক ছড়ায়। সে সময়ও মানহানির মামলায় দুই নারী দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, যদিও পরে আদালত সেই রায় বাতিল করে দেয়। ব্রিজিত এখন সেই মামলার আপিল প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।

এদিকে, ওয়েনসের মুখপাত্র মামলাটিকে “মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত” বলে দাবি করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনে মানহানির অভিযোগ প্রমাণ করতে হলে দেখাতে হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন বা তথ্য যাচাই না করেই প্রচার করেছেন। ফলে এই মামলার রায় মিডিয়া স্বাধীনতা বনাম ব্যক্তি-সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে এক নজিরবিহীন অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে