ঢাকা, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

দুই সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি!

২০২৫ জুলাই ২৭ ১৭:০৬:৪৫
দুই সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সাবেক সম্পাদক নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ আদেশ দেন। পরোয়ানা জারি করা অপর দুই আসামি হলেন—বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং বাংলা ইনসাইডার-এর প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। গত ২ জুন প্রতিবেদনটি আমলে নেওয়া হয় এবং আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছিল। তবে তারা কেউই হাজির হননি। এরপর বাদীপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

পরবর্তী শুনানির জন্য ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করে ওইদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যেটি পরে অনলাইনেও ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে ব্যারিস্টার সারোয়ারকে “একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত, রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের হোতা” বলে উল্লেখ করা হয়—যা বাদীপক্ষের ভাষায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর।

মামলায় আরও বলা হয়, ওই সংবাদ বিভিন্ন ফেসবুক পেজে—বিশেষ করে ‘ভাইরাল প্রতিদিন’ নামে একটি পেজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে ব্যারিস্টার সারোয়ার জানান, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন, বরং তার মামলার নারাজি আবেদনে এককালীন শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন মাত্র।

এছাড়া, বাংলা ইনসাইডার-এ ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে একটি আরেকটি প্রতিবেদনকেও মামলার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামির তালিকা:

নঈম নিজাম — সাবেক সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

ময়নাল হোসেন চৌধুরী — প্রকাশক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সৈয়দ বোরহান কবীর — প্রধান সম্পাদক, বাংলা ইনসাইডার

ভাইরাল প্রতিদিন ওয়েবসাইটের অ্যাডমিন, লেখক, ভিডিও নির্মাতা ও টেকনিক্যাল টিম (৪ জন)

সিআইডি তাদের তদন্তে প্রথম তিনজনকে অভিযুক্ত করে ২০২3 সালের ২০ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

ব্যারিস্টার সারোয়ার বলেন, "সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত মর্যাদাহানিকর। আমি রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। এসব প্রচারণা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।"

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে