ঢাকা, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
Sharenews24

শেয়ারবাজার পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির ১১ দফা সুপারিশ

২০২৫ মে ১০ ২১:৫৩:১৫
শেয়ারবাজার পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির ১১ দফা সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা, শেয়ারবাজারের বর্তমান সংকট ও সুপ্ত সম্ভাবনা এবং সরকারের করণীয় বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশসমূহ উপস্থাপন করেছে।

শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ ক্যাপিট্যাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ক্যাপিট্যাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

এনসিপির যুগ্ন মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আস্থাহীনতা। তিনি বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিনিয়োগকারীদের দেশে নিয়ে আসুন এবং তাদেরকে জানান, বিনিয়োগে কোনও জটিলতা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বিএসইসিকে নিয়মিতভাবে বিনিয়োগকারী, ডিএসই ও ব্রোকারদের সঙ্গে বসতে হবে। বাজারের উন্নয়নে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কাউকে উপেক্ষা না করে সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে কিছু বাস্তবমুখী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে নিম্নলিখিত সুপারিশগুলো তুলে ধরা হয়:

১. শেয়ার ক্যাটাগরি নির্ধারণে শুধুমাত্র ডিভিডেন্ডের ভিত্তিতে নয়, কোম্পানির দেউলিয়াত্ব, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো বিবেচনায় আনতে হবে।

২. ক্যাপিটাল গেইন ও ডিভিডেন্ড ইনকামে দ্বৈত কর পরিহার করে করের হার যৌক্তিক পর্যায়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

৩. পেশাদার ব্যবস্থাপনায় বাধ্যতামূলক করে মাল্টি ফান্ড পরিচালনা, অপব্যবহার হলে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন ও ডিভিডেন্ডে কর ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

৪. তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার পার্থক্য বাড়াতে হবে, যাতে আরও কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হয়।

৫. অ্যাসেট ব্যাকড সিকিউরিটিজ (REITs, Sukuk) ইত্যাদির ট্রান্সফারে কর মুক্তি দিয়ে বিকল্প বিনিয়োগের বিকাশ ঘটাতে হবে।

৬. ব্যাংক ও কর্পোরেট রিকভারি প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর সংস্কার ও দেউলিয়াত্ব আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

৭. কারেন্সি ট্রেডিং ও শর্ট সেল চালু করে বাজারে তরলতা বাড়ানোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জন্য কার্যকর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

৮. প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড, সোভারেইন ওয়েলথ ফান্ড (SWF) ও অন্যান্য ফাউন্ডেশনের বিনিয়োগে কর কাঠামো স্থির ও বিনিয়োগবান্ধব করতে হবে।

৯. ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে পরিহার করতে হবে, কারণ এটি বাজারের স্বাভাবিক গতি ও আস্থার বিপরীত।

১০. স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগ সম্মিট আয়োজন করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে।

১১. বিএসইসি, স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বচ্ছ ও নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে আস্থাশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজার গড়ে তুলতে হবে।

এসব সুপারিশের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে।

আরও পড়ুন-

ইপিএস প্রকাশ করেছে ২৫ কোম্পানি

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে