ঢাকা, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিলো সেনাসদর

২০২৫ মার্চ ২৩ ১০:৫২:৫৬
হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিলো সেনাসদর

নিজস্ব প্রতিবেদক : নেত্র নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের 'রিফাইন্ড' একটি পক্ষকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে রাজি হতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে চাপ পাওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ যে দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী সদর দপ্তর তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) সেনাসদরের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল, তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে "ডেকে নিয়ে যাওয়ার" এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং, সেনাসদরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও এনসিপির আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

হাসনাত আব্দুল্লাহ শুক্রবার তার ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন যে, ১১ মার্চ ক্যান্টনমেন্টে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আসন সমঝোতা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, "কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র আসছে, যা পুরোপুরি ভারতের পরিকল্পনা।" তার পোস্টে আরও বলা হয়, ১১ মার্চ ওই বৈঠকে তাদেরকে 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' মেনে নিতে এবং সংসদের আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সেনাসদরের বিবৃতিতে বলা হয়, হাসনাত আব্দুল্লাহর অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই এবং এটি "সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি" ছাড়া আর কিছু নয়। সেনাসদর আরও উল্লেখ করেছে, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা সেনাসদরে সাক্ষাতের জন্য আসেন।

সেনাসদরের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন, যা তার ব্যক্তিগত অভিমত হিসেবে ছিল। তিনি বলেছিলেন, "আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় এবং ক্লিন ইমেজের অধিকারী, তাদের সমন্বয়ে নতুন আওয়ামী লীগ যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য হবে। তবে এ বিষয়ে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনা করতে পারেন।"

সেনাসদর বিবৃতিতে আরও স্পষ্ট করেছে যে, "এটি কোনোক্রমেই তাদেরকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে এমন আলোচনা করে না।"

সেনাসদরের বিবৃতিতে হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমকে "সেনাপ্রধানের সঙ্গে স্নেহবৎসল পরিবেশে আলাপচারিতা" করতে দেখা যায় এবং তাদের নতুন দল গঠন ও রাজনৈতিক পথচলা নিয়ে শুভকামনা জানানো হয়। তবে, সেনাসদরের বিবৃতিতে হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টকে "একটি রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ "অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার"।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে