ঢাকা, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে ভারতের ৬০ কোটি টাকা লস

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১২:৩৪:১৭
সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে ভারতের ৬০ কোটি টাকা লস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১লা মার্চ থেকে ভারতের আইটিসি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ৫০ শতাংশে সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে, আইআইজি (ইন্টারনেট ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে) অপারেটররা ভারতের মাধ্যমে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে পারবে না।

সরকারের এই সিদ্ধান্তে বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে এবং সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে, এমন আশাবাদী মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে বাংলাদেশের দৈনিক ব্যান্ডউইথ চাহিদা ৬,৮০০ জিবিপিএস, যার ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি (BSCCL) এবং বাকি ৬০ শতাংশ ভারত থেকে আমদানি হয়। সম্প্রতি ভারত তাদের ভূখণ্ডে সিডিএন (কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক) সার্ভার স্থাপন করেছে, যার ফলে ভারতীয় ক্যাবলগুলোর মাধ্যমে দ্রুত ট্র্যাফিক সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে, ভারতীয় ব্যান্ডউইথের দাম বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবলের তুলনায় অনেক কম, যেখানে সাবমেরিন ক্যাবলের প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ২২০ টাকা, ভারতীয় ব্যান্ডউইথের দাম ১০০ টাকা।

এখন সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথে ৪,৪০০ জিবিপিএস পড়েছিল, কিন্তু ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানিতে প্রতিবছর ৪ কোটি ডলার বা প্রায় ৪৮৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমদানি করা ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ৫০ শতাংশে সীমাবদ্ধ করতে বলা হয়েছে, যার ফলে বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

আইআইজি অপারেটররা সরকারের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলছেন না, তবে তারা সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন। আইআইজিএবির সভাপতি বলেন, “৫০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সাবমেরিন ক্যাবল থেকে নিতে হবে, এর ফলে আইআইজি অপারেটরদের খরচ ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে যাবে।”

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, “যত বেশি ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে, তত ডিসকাউন্ট বৃদ্ধি করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে