ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

কোটি টাকা লেনদেন ২৪ সাংবাদিকদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১১:১৬:১৩
কোটি টাকা লেনদেন ২৪ সাংবাদিকদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ২৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবে মোট এক হাজার ২৬৮ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক হাজার ২৩৮ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, এবং বর্তমানে এসব হিসাবগুলোতে ৩০ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

এই সাংবাদিকদের মধ্যে, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের ২৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক হাজার ৪২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মার অ্যাকাউন্টে, যেখানে ৫৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২২ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। সম্প্রতি, বিএফআইইউ থেকে ২৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য প্রদান করা হয়, যার ভিত্তিতে তদন্তের জন্য দুদককেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সূত্রের মতে, শ্যামল দত্তের ২৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক হাজার ৪২ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ২১ কোটি ১১ লাখ টাকা জমা রয়েছে। শ্যামল দত্ত গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থেকে আটক হন, এবং বর্তমানে তিনি একটি হত্যামামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মার ব্যাংক হিসাব থেকে, যেখানে ৯টি অ্যাকাউন্টে ৫৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, এবং বর্তমানে ৯০ লাখ টাকা জমা রয়েছে।

এছাড়াও, আলমগীর হোসেন (সমকাল), অশোক চৌধুরী (বৈশাখী টেলিভিশন), সৈয়দ বোরহান কবীর (বাংলা ইনসাইডার), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), ফরিদা ইয়াসমিন (নঈম নিজামের স্ত্রী), জায়েদুল হাসান পিন্টু (ডিবিসি নিউজ), ফরাজী আজমল হোসেন (ইত্তেফাক), শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), মধুসূদন মণ্ডল (বাসস), জহিরুল ইসলাম মামুন (এটিএন বাংলা), শেখ মামুনুর রশীদ (যুগান্তর), রফিকুল ইসলাম রতন (স্বদেশ প্রতিদিন), শাবান মাহমুদ (বাংলাদেশ হাইকমিশন, দিল্লি), এবং মির্জা মেহেদী তমাল (বাংলাদেশ প্রতিদিন) সহ আরও অনেক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গেছে।

এই তথ্য পাওয়ার পর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "এই আয় অবশ্যই অস্বাভাবিক এবং বৈধ আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। গত ১৫ বছরে সাংবাদিকতা পেশা কর্তৃত্ববাদের দোসর হয়ে কাজ করেছে, যার ফলে পেশাগত দেউলিয়াত্বের শিকার হয়েছে। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, এবং সব পেশার দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।"

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব সাংবাদিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ছাড়াও আরও অনেক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও, অনেকের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

সামান্তা/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে