ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

প্রবাসী আয়ে নতুন দুই রেকর্ড বাংলাদেশের

২০২৫ জানুয়ারি ০১ ২০:৪১:২৩
প্রবাসী আয়ে নতুন দুই রেকর্ড বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত বছরে বাংলাদেশের প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে।

২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২ হাজার ৬৮৯ কোটি ডলার (২৬.৮৯ বিলিয়ন) সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন।

এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। গত এক বছরে প্রবাসী আয় আগের বছরের (২০২৩) তুলনায় প্রায় ৫০০ কোটি ডলার বা ২০.৫০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের ১২ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১.৯২ বিলিয়ন) ডলার।

এছাড়া ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৬৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলার এসেছিল ওটাই ছিল একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

এছাড়া আগের বছরের একই মাসের তুলনায় গত ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৫ কোটি ডলার বা ৩২.৫৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি কোটি ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অন্যতম উপাদান হলো প্রবাসী আয়, রাপ্তানি আয় ও বিদেশি ঋণ। তবে এর মধ্যে প্রবাসী আয় ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। কারণ এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না, আবার কোনো দায়ও পরিশোধ করতে হয় না।

কিন্তু রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও সেই অর্থ দিয়ে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন হয়। একইভাবে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্যও ডলারের প্রয়োজন হয়। ফলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে দেশে রিজার্ভও বাড়ে, যা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে।

গত আগস্টে রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর পরে থেকে প্রবাসী আয় ক্রমাগত বাড়তে থাকে, যা বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। প্রতিটি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। এর ফলে ২০২৪ সালে সার্বিকভাবে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় অর্জিত হয়েছে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে