ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
Sharenews24

বাজেটে যেসব পণ্যে কর বাড়তে পারে-কমতে পারে

২০২৪ জুন ০৫ ২১:৩৮:১৯
বাজেটে যেসব পণ্যে কর বাড়তে পারে-কমতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা হতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। বাজেট বক্তৃতায় করছাড় বাবদ অন্তত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে করছাড় কমানোর পরিকল্পনা জানাবেন অর্থমন্ত্রী।

যেসব খাতে করহার বাড়তে-কমতে পারে* বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন এমন স্বাভাবিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানেরর কর ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ হতে পারে। তবে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত থাকছে। * শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানির জন্য সুখবর থাকতে পারে। শর্তসাপেক্ষে এদের করপোরেট কর সাড়ে ২২ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকতে পারে। * যেকোনো সমিতি, ট্রাস্ট, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সুদের উপর কর ৫ শতাংশ বেড়ে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুদের আয়ে করহার ১০ শতাংশ অব্যাহত থাকছে। * বাজেটে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও ডালসহ বিভিন্ন মসলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় উৎসে কর কমানো হতে পারে। এতে আমদানি খরচ কমে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। * অনেক সমালোচনার পরেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখে দিচ্ছে সরকার। আগে এই সুযোগ শুধু ব্যক্তিতে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে প্রতিষ্ঠানও কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছে। * সব কার্যক্রম ক্যাশলেস বা নগদ অর্থের বিনিময় ছাড়া সম্পন্ন করতে পারলে আইসিটির সঙ্গে জড়িত ১৩টি খাতকে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য করছাড় দেওয়ার ঘোষণা থাকছে। * জনস্বার্থের ক্ষতি বিবেচনায় মিষ্টি পানীয়ের টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে। * এতিমখানা বা আশ্রমের কেনা গাড়ির অগ্রিম কর, উত্তরাধিকার, উইল, অছিয়তের সম্পদ করছাড় সুবিধা পাবে। এনজিও ব্যুরোর অনুমোদিত যেকোনো ব্যক্তির দানও করমুক্ত থাকবে। * কালোটাকা সাদা করতে পারবে প্রতিষ্ঠানওকালোটাকা সাদা করতে পারবে প্রতিষ্ঠানও

যেসব খাতে শুল্কহার বাড়তে-কমতে পারে* মেইড ইন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্লোগান সামনে রেখে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে—এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বা মূসক আরোপ। সেক্ষেত্রে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক-করের খরচ বাড়ছে। * দেশে বাদাম উৎপানকে সুরক্ষা দিতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। * ওষুধশিল্পের কাঁচামালে রেয়াতি শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। ডেঙ্গুর কিট আমদানিতে নতুন করে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে। কিডনি ডায়ালাইসিসের ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে নামতে পারে। * রেফারেল হাসপাতাল নামে পরিচিত দেশের কয়েকটি বিলাসবহুল হাসপাতালের পণ্য আমদানির শুল্ক ১০ গুণ বাড়ছে। এখনকার ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে। * আড়াই কেজির প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধে বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়া হতে পারে। * রড উৎপাদনে ব্যবহৃত ফেরো ম্যাঙ্গানিজের শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা থাকতে পারে বাজেটে। * এয়ারকন্ডিশনার তৈরিতে ব্যবহৃত স্টিল শিটের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। * ওয়াটার পিউরিফায়ার বা পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। * দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের কাঁচামালের শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। এটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা থাকবে নতুন বাজেটে। * এছাড়া ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে। * প্রস্তাবিত বাজেটে এটিএম ও সিসি ক্যামেরার আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। * এছাড়া জেনারেটরের সংযোজনী পণ্য, এলইডি ও এনার্জি সেভিং ল্যাম্পে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থাকতে। * চকলেটের বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে বাজেটে। * ল্যাপটপ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তবে এ ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে। ফলে মোট করভার ৩১ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ হবে। * প্রিপেইড ইলেকট্রিক মিটারের শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। * ইলেকট্রিক মিটারের যন্ত্রাংশের শুল্ক ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হতে পারে। * সব স্তরে শুল্ক অব্যাহতি অবসানের অংশ হিসেবে শিল্পের কাঁচামালে শূন্য শুল্কের পরিবর্তে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী। * প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্ট্রাকচারের আমদানিতে শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। * সিএনজি, এলপিজি স্টেশনের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের শুল্ক ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা আসতে পারে। * বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাই-টেক পার্কে শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও গাড়ি আমদানিতে শূন্য শুল্ক সুবিধা তুলে নেওয়া হচ্ছে। নতুন বাজেটে এসব ক্ষেত্রেও ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থাকবে। * ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণসহ পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি থাকছে। * মোবাইল ফোন আমদানি সীমিত করা হচ্ছে। আসছে বছরে কোনো যাত্রী একটির বেশি মোবাইল ফোন বিনাশুল্কে আনতে পারবেন না। আগে দুটি ফোন আনা যেত।

শেয়ারনিউজ, ০৫ জুন ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে