নিজস্ব প্রতিবেদক : চাচাত ভাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভের সঙ্গে প্রেম ছিল ইসরাত জাহান ইভার। কিন্তু প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেন তিনি।

সৌরব ও ইভা কয়েকদিন আগে ঢাকায় এসে গোপনে বিয়ে করেন। এরপর সৌরভ তাদের বিয়ের বিষয়টি ময়মনসিংহে গিয়ে তার বাবাকে জানায়। সৌরভের বাবা জানায় তার চাচাকে।

কিন্তু চাচা ইলিয়াস আলী এই বিয়ে মেনে নিতে কোনভাবেই রাজি নন। এক পর্যায়ে তিনি সৌরবকে বাসায় ডেকে হত্যা করেন।

মঙ্গলবার (০৪ জুন) এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেনে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁইয়া। তিনি বলেন, চাচা ইলিয়াস আলীর মেয়ে ইভার সঙ্গে প্রেম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভের। কিন্তু ইভা ৩ বছর আগে বিয়ে করেন কানাডাপ্রবাসী আব্রাহাম নামের এক ব্যক্তিকে।

তবে আব্রাহামের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টিও মেনে নিতে পারেননি ইভার বাবা ইলিয়াস আলী। তবে সেই স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে চাচাতো ভাই সৌরভকে আবারো বিয়ে করেন ইভা। এই বিয়ের পর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয় ইভার বাাব ও তার পরিবার।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, বিয়ের পর সৌরভের উদ্দেশ্যে ছিল কানাডাপ্রবাসী আব্রাহামের বাবাকে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাবে। সেজন্য সৌরভ ময়মনসিংহ শহরে যান।

তবে ময়মনসিংহে সৌরভের আসার বিষয়টি জানতে পারেন তার চাচা ইলিয়াস আলী। পরে ময়মনসিংহ নগরীর গোহাইলকান্দির ভাড়া বাসায় সৌরভকে ডেকে নিয়ে আসেন চাচাত ভাই মৃদুল।

সৌরভ বাসায় প্রবেশ করা মাত্রই পেছন থেকে চাকু দিয়ে মাথায় আঘাত করে চাচা ইলিয়াস আলী এবং তার শ্যালক ফারুক। এতেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌরভের। পরে মরদেহটি নিয়ে রাখা হয় গোসলখানা।

শেয়ারনিউজ, ০৪ জুন ২০২৪