ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

জিকিউ বলপেনের শেয়ারদর বেড়েছে সাড়ে ৩২ শতাংশ

২০২৩ ডিসেম্বর ০২ ১১:২৩:৪১
জিকিউ বলপেনের শেয়ারদর বেড়েছে সাড়ে ৩২ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সাপ্তাহিক দাম বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩২.৬৭ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সপ্তাহের শেষ দুই কর্মদিবস বুধবার ও বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ দামে ক্রেতাশুন্য থেকেছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ দামে ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। যা স্বাভাবিক নয় বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

তাঁদের মতে, কোম্পানিটির এমন কোনো সংবেদনশীল তথ্য নেই যে বিনিয়োগকারীরা লেনদেনের শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারটি সর্বোচ্চ দামে কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বেন। শেয়ারটির পেছনে অবশ্যই অশুভ চক্র ভর করেছে।

বাজার তথ্যে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবস কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন ও দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু শেষের দুই দিন ছিল অস্বাভাবিক। যে কারণে ডিএসই কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের কাছে শেয়ারটির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায়।

কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ ডিএসইর চিঠির উত্তরে জানায়, কোম্পানিটির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

জানা গেছে, স্বল্প মূলধনী কোম্পানি হওয়ায় লোকসানি এই কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে একটি চিহ্নিত কারসাজি হঠাৎ করে সক্রিয় হয়েছে। আগেও শেয়ারটি নিয়ে মাঝে-মধ্যেই চক্রটিকে মেতে উঠতে দেখা গেছে। তারপর কিছুদিন টানাটানির পর শেয়ারটির দাম ফের নিচে এসে স্থির হয়।

১৯৮৬ সালে জিকিউ বলপেন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

৩০ জুন, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছরও ২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ১ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১১৯ টাকা ২৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২০ টাকা ৬ পয়সা।

ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪১.৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১.৪৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ০.০৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৬.৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে