ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
Sharenews24

বাংলাদেশে তারকা দম্পতির যত বিচ্ছেদ

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২৩ ১১:৩০:০১
বাংলাদেশে তারকা দম্পতির যত বিচ্ছেদ

বিনোদন ডেস্ক : সাধারণ মানুষের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর খুব একটা জানা না গেলেও মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে তারকার বিবাহ বিচ্ছেদের খবর। তাদের বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এ নিয়ে গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি তারকাদের বিয়ের খবরে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন যে ডিভোর্সের খবর পরে শোনা যাবে। আর কিছু তারকা দম্পতির কথা বলব আজ। যারা ডিভোর্সের মাধ্যমে সম্পর্কের ইতি টানেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন-দিতি- বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও জনপ্রিয় নায়িকা দিতি প্রেম করে বিয়ে করেন। সন্তানদের কথা ভেবে তারা একে অপরের হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। যে সন্তানদের কথা চিন্তা করে তারা এক হয়েছিলেন সেই সন্তানরা একে অপরকে এক পরিবারের ভাবতে পারেননি।

আলমগীর-খোশনুর- জনপ্রিয় অভিনেতা আলমগীর প্রথম বিয়ে করেন গীতিকার খোশনুরকে। তাদের মেয়ে সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। পরে আলমগীর খোশনুর সাথে তার দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন এবং সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন। এখন তাদের সুখের সংসার।

হুমায়ুন ফরিদী-সুবর্ণা মুস্তাফা- মঞ্চে একসঙ্গে অভিনয় করতেন অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ও সুবর্ণা মুস্তাফা। সেখান থেকেই তাদের প্রেমের সূত্রপাত। ফরিদি তার প্রথম স্ত্রী মিনুকে তালাক দেন এবং ১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী সুরবানা মুস্তাফাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি ২৪ বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করেন। ২০০৮ সালে হুমায়ুন ফরীদিকে তালাক দেন সুরবানা।

হুমায়ূন আহমেদ-গুলতেকিন- প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এবং গুলতেকিন বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে তাদের ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী শাওনকে। তাদের বিয়ে নিয়ে মিডিয়া উন্মাদনা দেখা দিয়েছে।

শমী কায়সার-রিঙ্গো- ১৯৯৯ সালে শমী কায়সার পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র নির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন। বিয়ে দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। নানা কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায় এবং বিয়ে ভেঙে যায়।

তারিন-সোহেল আরমান- চিত্রনায়ক আমজাদ হোসেনের ছেলে অভিনেতা ও পরিচালক সোহেল আরমানের প্রেমে পড়েন অভিনেত্রী তারিন। বাবা-মায়ের অজান্তে পালিয়ে যাওয়ার পর ২০০১ সালে সোহেলকে বিয়ে করেন তারিন। ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও পরে তা প্রকাশ্যে আসে। এরপর কয়েক বছর পর সম্পর্ক ভেঙে যায়।

বিজরী বরকত উল্লাহ-শওকত আলী ইমন- প্রেমের টানে একে অপরকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী বিজরী বরকত উল্লাহ ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন। তাদের ঘরে এক সুন্দরী কন্যার জন্ম হয়। কিন্তু তাদের বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। তারা তালাকপ্রাপ্ত হয়. বিজরী পরে অভিনেতা ইন্তেখাব দিনারকে বিয়ে করেন।

জয়া-ফয়সাল- মডেল-অভিনেতা মোহাম্মদ ফয়সাল আহসান উল্লাহর প্রেমে পড়েন অভিনেত্রী জয়া আহসান। বিয়ের পর প্রেমের সোপান হিসেবে ধানমন্ডিতে ফাস্টফুডের দোকান খুলতেও দেখা যায় তাদের। সুখে সংসার চলছিল তাদের। কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ে নৈতিক দূষণের ঝড় বয়ে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ফয়সালকে ডিভোর্স লেটার পাঠান জয়া।

তাহসান-মিথিলা- জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তাহসান-মিথিলা। বিচ্ছেদ অসীম ভালবাসার কাছে তুচ্ছ। ৩ আগস্ট ২০০৬-এ তারা তাদের সম্পর্কের ইতি টেনে বিয়ে করে। তাদের একমাত্র মেয়ে আইরা তাহরিম পরিবারে যোগ দেয়। ভক্তরা বিশ্বাস করেছিলেন যে এই দম্পতি কখনই আলাদা হবেন না। তবে তাহসান-মিথিলা কোটি ভক্তের আস্থা ভেঙে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন।

অপূর্ব-প্রভা- ছোট পর্দার অভিনেতা অপূর্ব ও প্রভা প্রেম করে বিয়ে করেছেন। অপূর্বর সঙ্গে প্রভার বিয়ের কয়েকদিন পর প্রাক্তন প্রেমিক রাজীবের সঙ্গে প্রভার কিছু ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হলে অপূর্ব প্রভাকে তালাক দেন। বিচ্ছেদের পর নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে নতুন সংসার শুরু করেন অপূর্ব। তবে অদিতির সঙ্গে অপূর্বের বিয়ে টেকেনি।

আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েত- একটি থিয়েটার ট্রুপে কাজ করার সময় আফসানা মিমির পরিচয় হয় প্রযোজক-অভিনেতা গাজী রাকায়েতের সঙ্গে। পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব। সময়ের সাথে সাথে সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। তারপর বিয়ে। কিন্তু বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ হয় আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের।

হিল্লোল-তিন্নি- মিডিয়াপাড়ায় হিল্লোল-তিন্নির বিয়ে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তিন্নি তার বাবা-মাকে ছেড়ে হিল্লোলে চলে আসেন। এই দম্পতির ঘরে একটি মেয়ে আসে। তবে টেকেনি এই তারকা দম্পতির সংসার। হিল্লোল তিন্নির বিরুদ্ধে মাদক ও অশ্লীল নেশার অভিযোগ এনেছে। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। হিল্লোল পরে আরেক মডেল অভিনেত্রী নওশীনকে বিয়ে করেন।

জেমস-রথি- জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী রথিকে। কিন্তু তাদের এ সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। জেমস প্রেমে মজে গিয়েছিলেন প্রবাসী বেনজির নামের এক তরুণীর প্রেমে। আর এতেই ভেঙে যায় তাদের সংসার।

রবি চৌধুরী-ডলি সায়ন্তনী- সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীকে। কিন্তু তাদের ভালোবাসার সংসার শেষ পর্যন্ত টেকেনি।

পার্থ বড়ুয়া-শ্রাবন্তী- ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সোলসখ্যাত ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়া এবং অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী। কিন্তু খুব বেশিদিন সেই প্রেম স্থায়ী হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়া থেকে দূরে রয়েছেন শ্রাবন্তী; সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

নাদিয়া-শিমুল- শোবিজ জগতে আলোচিত বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে নাদিয়া ও শিমুলের জীবনে। নাদিয়া শিমুলকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেন আরেক তারকা নাঈমকে।

হৃদয় খান-সুজানা- হৃদয় খান প্রায় চার বছর ধরে প্রেম করে বিয়ে করেন সাত বছরের বড় সুজানাকে। পত্র-পত্রিকা আর টিভির সামনেও স্বগর্বে নিজের প্রেমের কথা, ভালোবাসার কথা বলেছেন হৃদয় খান। কিন্তু হৃদয় খানের অনেক সাধনার বিয়ে বছর ঘোরার আগেই ভাঙনের মুখে পড়ে। কারণ, পারস্পরিক সমঝোতা না হওয়া। এরপর বিচ্ছেদ হয় হৃদয়-সুজানার।

শখ-নিলয়- শোবিজের আলোচিত তারকা দম্পতি শখ ও নিলয়। ভালোবেসে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি শখ ও নিলয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন এই জুটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরও একই পথে হাটতে হয়।

শাকিব খান-অপু বিশ্বাস- সুপারস্টার শাকিব খান ও অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ১৮ এপ্রিল ২০০৮ সালে শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়েকে গোপন রেখে দুজনে শুটিং চালিয়ে যান। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির পর একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাসের ছেলে আব্রামকে নিয়ে হাজির হন অপু। আট বছর আগে তার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস একে অপরকে দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন শাকিব খান।

শেয়ারনিউজ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর



রে