ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ব্যাংক লুটে সিকদার ও মাইশা গ্রুপ: ৬৪৭ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা

২০২৫ ডিসেম্বর ২৩ ০৭:১১:৫৪
ব্যাংক লুটে সিকদার ও মাইশা গ্রুপ: ৬৪৭ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে বড় অংকের অর্থ আত্মসাতের দায়ে প্রভাবশালী সিকদার পরিবার ও মাইশা গ্রুপের পরিচালকসহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান বাদী হয়ে শিগগিরই এই মামলাটি দায়ের করবেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভুয়া নথিপত্র ব্যবহার করে অস্তিত্বহীন কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পাচার করেছেন।

এই ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ন্যাশনাল ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সরাসরি যোগসাজশ খুঁজে পেয়েছে দুদক। তদন্তে দেখা গেছে, ‘মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লি.’ নামের একটি নামসর্বস্ব ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে অর্থ ছাড় করা হয়েছিল।

মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছেন প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার, মেয়ে পারভীন হক সিকদার এবং দুই ছেলে রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। এই প্রভাবশালী পরিবারটি দীর্ঘদিন ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।

জালিয়াতির এই প্রক্রিয়ায় অন্যতম সুবিধাভোগী হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন মাইশা গ্রুপের পরিচালক ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আসলামুল হকের স্ত্রী মাকসুদা হক। শুধু ব্যবসায়ী বা পরিচালক নয়, এই লুণ্ঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চৌধুরী মোসতাক আহমেদ, এম এ ওয়াদুদ এবং সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এ এস এম বুলবুলসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কাগুজে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও সিইও-কেও এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, তৎকালীন পর্ষদ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে মূলত ‘স্মার্ট ব্যাটারি টেকনোলজি লি.’ নামক অন্য একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের দেনা মেটাতে এই ছায়া কোম্পানি বা শ্যাডো কোম্পানি ব্যবহার করেছিল।

অনুমোদিত ঋণের ৬৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা প্রকৃত কোনো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার না করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর ও পাচার করা হয়েছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাধারণ আমানতকারীদের টাকা লুটপাটের এই চিত্র এখন আইনি লড়াইয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

সালাউদ্দিন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে