ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

শীতে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার প্রয়োজন

২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১১:৫১:০৮
শীতে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক: শীত মানেই আরাম আর সৌন্দর্যের অনুভূতি—ঠান্ডা হাওয়া, ছোট দিন আর নরম রোদ। কিন্তু এই আরামদায়ক আবহাওয়ার আড়ালেই লুকিয়ে থাকে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। সূর্যালোকের স্বল্পতা, শুষ্ক ঠান্ডা বাতাস এবং ঘরের ভেতর বেশি সময় কাটানোর ফলে সর্দি, কাশি ও ফ্লুর মতো মৌসুমি সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শীতে সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টির দিকে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি।

শীতকালে সূর্যের আলো কম পাওয়ার কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আবার ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস নাক ও গলার ভেতরের আস্তরণ শুকিয়ে দেয়, ফলে ভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এসব কারণেই শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করা বিশেষভাবে প্রয়োজন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতের দিনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে কোন পুষ্টি উপাদানগুলো সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে—

১. ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভিটামিন সি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা কোষকে সক্রিয় রাখে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কোষের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কোলাজেন তৈরি করে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ দেয়ালকে মজবুত করে। যেসব খাবারে ভিটামিন সি ভালো পাওয়া যায় সেগুলো হল; লেবু জাতীয় ফল, পেয়ারা, আমলকি, ক্যাপসিকাম, ব্রোকলি।

২. ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করা উপাদান তৈরিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ কোষের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। শীতে রোদ কম পাওয়ায় অনেকের শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে পরিপূরক গ্রহণ করা যেতে পারে। যেসব খাবারে ভিটামিন ডি ভালো পাওয়া যায় সেগুলো হল; দুধ, ডিম, চর্বিযুক্ত মাছ।

৩. জিঙ্ক

শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঠিক বিকাশ ও কার্যকারিতার জন্য জিঙ্ক অপরিহার্য। এই উপাদানের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ কোষের কাজ ব্যাহত হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। শীতকালে জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবারে জিঙ্ক ভালো পাওয়া যায় সেগুলো হল; বাদাম, বীজ, মটরশুঁটি, শস্যদানা, হাঁস-মুরগির মাংস, সামুদ্রিক খাবার।

৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেল দূর করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। রসুন, আদা, হলুদ ও সবুজ চায়ের মতো উপাদানে থাকা প্রাকৃতিক যৌগ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে হলুদের উপাদান কারকিউমিন প্রদাহ ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক। যেসব খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল ভালো পাওয়া যায় সেগুলো হল; নানা ধরনের ফল ও শাকসবজি, রসুন, আদা, হলুদ, সবুজ চা।

৫. প্রোবায়োটিক

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বড় একটি অংশ অন্ত্রের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। প্রোবায়োটিক অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং অতিরিক্ত প্রদাহ কমায়। যেসব খাবারে প্রোবায়োটিক ভালো পাওয়া যায় সেগুলো হল; দই, কেফির, ইডলি, দোসা, আচার ও অন্যান্য গাঁজানো খাবার।

৬. প্রোটিন

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ভিত্তি গঠনে প্রোটিন অপরিহার্য। এটি অ্যান্টিবডি ও প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরিতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত প্রোটিন না পেলে শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করতে পারে না। যেসব খাবারে প্রোটিন ভালো পাওয়া যায় সেগুলো হল; ডিম, ডাল, চর্বিহীন মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, টোফু।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে