ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে বিশেষ নির্দেশনা জারি

২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১৭:২৩:০২
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে বিশেষ নির্দেশনা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি ও পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৬ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেশজুড়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিন পার্বত্য জেলা এ পরীক্ষার আওতার বাইরে থাকবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের জন্য একাধিক বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা সবাইকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর অন্তত এক ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ সকাল ৯টার মধ্যে নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না।

কেন্দ্রে প্রবেশের সময় নারী ও পুরুষ পরীক্ষার্থীদের আলাদাভাবে তল্লাশি করা হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। ব্লুটুথ বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস শনাক্তের জন্য পরীক্ষার্থীদের উভয় কান সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রাখতে হবে। কানে কোনো স্পাইক ইয়ারফোন বা সন্দেহজনক বস্তু আছে কি না, প্রয়োজনে টর্চলাইট ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ঘড়ি, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব সামগ্রী পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি ওএমআর উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে, যা অবশ্যই কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে। পেনসিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিট—উভয়ই পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে; প্রশ্নপত্র সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি থাকবে না।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সার্বিকভাবে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ছাড়া অন্য কারও মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি থাকবে না। ভুয়া পরীক্ষার্থী বা অসদুপায় অবলম্বনের প্রমাণ মিললে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় পদের তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। প্রথম ধাপে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি।

দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ হাজার ১৬৬টি পদের জন্য আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৫১ জন। দুই ধাপ মিলিয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৮৫টি পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০ জন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিটি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী।

এমজে/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জবস কর্নার এর সর্বশেষ খবর

জবস কর্নার - এর সব খবর



রে