ঢাকা, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

আগে হজ নাকি ওমরাহ, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর জীবন থেকে জেনে নিন আসল বিধান

২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:৩১:২৯
আগে হজ নাকি ওমরাহ, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর জীবন থেকে জেনে নিন আসল বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনি মুফতি সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, হজ ফরজ হওয়ার পর ওমরাহ করলে তা কি সঠিক হবে? এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি প্রথমে হজ করেছেন নাকি ওমরাহ? হুদায়বিয়ার সন্ধির আগে কি তিনি হজ করেছেন? এর জবাবে মুফতি সাহেব বলেছেন যে, কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর ঘর পৌঁছান, তাহলে তার উপর হজ ফরজ হয়ে যাবে। এখন তিনি যদি হজ আদায় না করে ওমরাহ করেন, তাহলে গুনাহগার হবেন। কারণ হজ ফরজ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর হজ নবম হিজরীতে ফরজ হয়েছিল। হজ ফরজ হওয়ার আগে তো তিনি হজ করেননি, তাই তখন কেন করবেন? মুফতি সাহেব বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পর একবার হজ করেছেন, যেটি ছিল বিদায় হজ (দশম হিজরীতে)।

তিনি জীবদ্দশায় চারবার ওমরাহ করেছেন, সবগুলো মক্কা বিজয়ের আগে ও পরে বিভিন্ন সময়ে। হুদায়বিয়ার সন্ধির আগে তিনি হজ করেননি। ছয় হিজরীতে তিনি সাহাবিদের নিয়ে ওমরাহর উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে রওনা দেন, কিন্তু মুশরিকরা তাকে মক্কায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদিত হয়। যার শর্তানুযায়ী সেই বছর তারা ওমরাহ করতে পারেননি, বরং পরের বছর সাত হিজরীতে তারা এসে ওমরাহ আদায় করেন, যা উমরাতুল কাজা বা কাফফারা ওমরাহ নামে পরিচিত।

মুফতি সাহেব জোর দিয়ে বলেন, হজ ফরজ হয়ে গেলে তা আদায় করাটাই হচ্ছে বিধান এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে রয়েছে, যে ব্যক্তির উপর হজ ফরজ হয়েছে অথবা যে ব্যক্তি হজ আদায় করতে ইচ্ছুক, সে যেন তাড়াতাড়ি আদায় করে। সুতরাং, হজকে অগ্রাধিকারে আদায় করতে হবে। কারণ ফরজ কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া ওয়াজিব।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

ধর্ম ও জীবন এর সর্বশেষ খবর

ধর্ম ও জীবন - এর সব খবর



রে