ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

রেডিটে শ্রীশান্তের সনাক্ত হওয়ার নেপথ্যের কাহিনী

২০২৫ অক্টোবর ২৩ ১২:৩৫:০১
রেডিটে শ্রীশান্তের সনাক্ত হওয়ার নেপথ্যের কাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর এক শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেড্ডিটে অশ্লীল ও আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে বুয়েট প্রশাসন সাময়িকভাবে বহিষ্কারও করেছে।

বুয়েটের ত্রিপল-ই বিভাগের ২১ ব্যাচের এবং আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় "WeeklyService923" ছদ্মনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেড্ডিটে একটি মুসলিম নারী সহপাঠীকে মাদক খাইয়ে যৌন নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে অশ্লীল ও আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করে আসছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে শত শত শিক্ষার্থী শ্রীশান্তের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে।

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা শ্রীশান্তের আসল পরিচয় জানতে পারেন তার ব্যবহৃত ছদ্মনাম এবং কিছু অনলাইন কার্যকলাপ থেকে। তারা ধাপে ধাপে রেডডিটের পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হন যে "WeeklyService923" ছদ্মনামের আড়ালে থাকা ব্যক্তিটি আর কেউ নন, তাদের সহপাঠী শ্রীশান্ত রায়। একটি পোস্টে শ্রীশান্ত তার ব্যবহৃত বেসুস ব্র্যান্ডের ইয়ারবার্ডসের কথা উল্লেখ করেন এবং সহপাঠীরা লক্ষ্য করেন যে শ্রীশান্ত নিয়মিত একই ব্র্যান্ডের ইয়ারবার্ডস ব্যবহার করেন।

এমনকি, শ্রীশান্ত তার ফেসবুক প্রোফাইলে নেপালের মুস্তাং এলাকার ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা তিনি রেডডিটে তার ভ্রমণ পরিকল্পনার অংশে উল্লেখ করেছিলেন। সহপাঠীরা রেডডিট আইডির লেখার ধরণ, শব্দ চয়ন এবং ভাবভঙ্গীর সাথে শ্রীশান্তের লেখার মিল খুঁজে পান। বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি বর্জনের স্বাক্ষর অভিযানের সময় শ্রীশান্ত একমাত্র শিক্ষার্থী ছিলেন যিনি সেই কাগজে স্বাক্ষর করেননি। এসব তথ্য মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত হন যে শ্রীশান্তই এই ঘটনার জন্য দায়ী।

মঙ্গলবার রাতে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় চকবাজার থানা পুলিশ শ্রীশান্তকে গ্রেপ্তার করে। এরপর বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বুয়েট কর্তৃপক্ষ শ্রীশান্তকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে