ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

মাহিরকে নিয়ে যা বললেন আলোচিত বর্ষার পরিবার

২০২৫ অক্টোবর ২৩ ১১:৩৮:৫১
মাহিরকে নিয়ে যা বললেন আলোচিত বর্ষার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্মানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি একটি "ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী" বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে নিহত জুবায়েদের পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ ও পুলিশের ভাষ্য:

আর্মানিটোলার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় জুবায়েদ হোসেনকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে মেঝে এবং সিঁড়িতে রক্তের দাগ এখনো স্পষ্ট দেখা যায়। পুলিশ জানায়, হামলার শিকার হওয়ার পর জুবায়েদ সাহায্য চেয়ে বিভিন্ন ফ্ল্যাটে নক করলেও কেউ তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। সে সময় তৃতীয় তলায় দাঁড়িয়ে ছিল বর্ষা। বর্ষা নাকি মাহিরকে বলেছিল যে, সে যদি তাকে (বর্ষাকে) পেতে চায়, তাহলে জুবায়েদকে "সরিয়ে দিতে" হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে একটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প এবং এর সাথে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জড়িত নেই।

অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি:

এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বারজিশ শবনম বর্ষা ও মাহির রহমানসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা মঙ্গলবার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বর্ষার মায়ের পাল্টা অভিযোগ:

তবে বর্ষার মা পুলিশের বক্তব্য নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, জুবায়েদকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তার মেয়ে পঞ্চম তলায় তাদের বাসার ভিতরেই তার সাথে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের (ছেলে, ভাতিজা) সাথে ছিল।

বর্ষার মা প্রশ্ন তুলেছেন যে, যদি তার মেয়ে মাহিরের সাথে মিলে এই হত্যার পরিকল্পনা করত, তাহলে সে নিজেই কীভাবে পুলিশকে মাহিরের নাম বলতে পারত? তিনি মনে করেন, মাহির তার মেয়েকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

তিনি "ত্রিভুজ প্রেম" এর ধারণা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন, বিশেষত জুবায়েদের মতো একজন ছাত্রদল নেতার সাথে তার অল্পবয়সী মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে। বর্ষার মা আরও জানান যে, তারা মাহির ও বর্ষার সম্পর্ক সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এই সম্পর্ক ভাঙার জন্য তারা বর্ষা ও মাহিরের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, এমনকি সে কারণে তারা আরমানিটোলা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চলে গিয়েছিলেন এবং বর্ষাকে শারীরিক শাস্তিও দিয়েছিলেন। বর্ষার মা মাহিরকে "ডেয়ারিং" এবং হিংস্র প্রকৃতির উল্লেখ করে জানান, মাহির তার নিজের বাবা-মায়ের প্রতিও আক্রমণাত্মক ছিল এবং বাড়িতে ভাঙচুর করত। তিনি বিশ্বাস করেন যে তার মেয়ে মাহিরের কথায় প্রভাবিত বা "মোহের বশে" থাকতে পারে।

মাহিরের পরিবারের অবস্থান:

মাহিরের পরিবার কয়েক বছর আগে আরমানিটোলা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চলে গিয়েছিল এই সম্পর্ক এড়াতে, তবে বর্তমান ঘটনা প্রসঙ্গে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মুয়াজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে