ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

ইসলামী ব্যাংক: অবৈধ নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে মালিকানা ফেরতের দাবি জোরদার

২০২৫ অক্টোবর ১০ ২০:৫৬:৪৬
ইসলামী ব্যাংক: অবৈধ নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে মালিকানা ফেরতের দাবি জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)-এর প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ার এখনো এস আলম গ্রুপের "অবৈধ নিয়ন্ত্রণে" রয়েছে, এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছে 'সচেতন ব্যবসায়ী ফোরাম'। তাদের দাবি, ব্যাংকটির প্রকৃত মালিকদের কাছে এর মালিকানা ফেরত দিতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জব্দকৃত শেয়ার অবিলম্বে লিকুইডেশন করে ব্যাংকের দায় পরিশোধে ব্যবহার করা হোক।

বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এই দাবি উত্থাপন করেন।

প্রধান অভিযোগ ও দাবি

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সচেতন ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্যসচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের আর্থিক খাতে সুশাসনের জন্য এই "অবৈধ নিয়ন্ত্রণ" বড় হুমকি।

• শেয়ার জব্দ, কিন্তু ব্যবহার নেই: মুস্তাফিজুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের ৮২ শতাংশ শেয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করার পরেও কেন তা লিকুইডেশন করে ব্যাংকের দায় পরিশোধে ব্যবহার করছে না?

• ২০১৭ সালের দখল: তিনি অভিযোগ করেন, "২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি একটি বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংক দখল করা হয়।" পরে শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়, যা কোম্পানি আইন ও সংবিধানে নেই।

• অর্থ পাচার ও সংকট: ফোরামের মতে, এস আলম গ্রুপ ব্যাংক দখল করে নিজেদের গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের এলসি অনুমোদন দিত এবং অন্য প্রতিষ্ঠানের এলসি বন্ধ করে দিত। "এভাবে টাকা পাচার করে ব্যাংককে কৃত্রিম সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে।"

• অবৈধ নিয়োগে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ দখলের পর প্রায় ৮,৩৪০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যার ফলে ব্যাংকটির বছরে প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। গত ৭ বছরে ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

ফোরামের সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো

১. এস আলমের শেয়ার অবিলম্বে লিকুইডেশন করে বা বিক্রি করে ব্যাংকের দায় পরিশোধ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।২. ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিতে হবে।৩. অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে এবং ব্যাংকের সক্ষমতা পুনর্গঠনের জন্য মেধাভিত্তিক নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সতর্ক করেন যে, ইসলামী ব্যাংক একসময় দেশের ব্যাংকিং খাতে আস্থার প্রতীক ছিল। রাজনৈতিক বা গোষ্ঠীগত স্বার্থের বলি হতে দিলে পুরো আর্থিক খাত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক, বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ. ন. ম. আতাউল্লাহ নাঈম, নিউ অটো গ্যালারির স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম আলম এবং উদ্যোক্তা আল মামুন প্রমুখ।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে