ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
Sharenews24

রাজনীতির বোঝা আর বইবেন না কর্মকর্তারা

২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৩:৫৯:৪৫
রাজনীতির বোঝা আর বইবেন না কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রশাসন ও পুলিশের কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এক বছরের মধ্যে অনেক কর্মকর্তা উপলব্ধি করেছেন যে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে জেল, মামলা বা চাকরিচ্যুতি ভোগ করার দিন শেষ। বর্তমানে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে আগ্রহী।

বিসিএস ক্যাডারের বিভিন্ন কর্মকর্তা নিজস্ব ব্যাচ ও ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন বজায় রাখছেন। বিশেষ করে প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তারা আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করছেন। তারা বলছেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) পদে লটারির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে, যা কর্মকর্তাদের দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সহায়ক।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করে নিজের সম্মান ও ভবিষ্যৎ আর ঝুঁকিতে ফেলতে চান না। সরকারি কর্মকর্তারা সাধারণত এ ধরনের পদায়নে দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হন। তবে লটারি পদ্ধতি প্রয়োগ হলে কিছু ঝুঁকি থাকে, যেমন কম দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা।

গেল সরকারের সময়ে অনৈতিক হুকুম পালনকারী অনেক সচিব ও আইজিপি এখন পদচ্যুত, কারান্তরীণ বা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। নির্বাচনের সময় এসব কর্মকর্তাদের দলীয় প্রভাব প্রতিরোধ করা এখন এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিগত নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার ও ওসি পদে লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। এর ফলে কর্মকর্তাদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ডিসি পদে নিয়োগের জন্য উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি ফিটলিস্ট তৈরি করা হয়। এরপর দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ডিসিরা নির্বাচনকালীন দায়িত্বে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করেন।

সাবেক সরকারের সময়ে অনেক কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলের প্রভাবের কারণে পদায়ন পেয়েছিলেন। এতে ভোটের অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে প্রভাব পড়েছে। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টারা নিশ্চিত করেছেন, এবার নির্বাচনে কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরিচালনায় ভূমিকা রাখবেন। এ ছাড়া, কোনো কর্মকর্তা রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না।

তোহা/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে