ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

জীন জাতি দৃশ্যমান না হওয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

২০২৫ মার্চ ১৫ ১২:৩৭:২৫
জীন জাতি দৃশ্যমান না হওয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবজাতির ইতিহাসে জিন এবং শয়তান সম্পর্কিত নানা ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কোরআনে উল্লেখিত তথ্যমতে, জিন এবং শয়তান এক ধরনের অদৃশ্য সত্তা যারা মানুষের দৃষ্টির বাইরে থেকে আমাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে। এই খবরগুলো যখন মানুষের কাছে পৌঁছায়, তখন প্রশ্ন উঠে, কেন আমরা জিন বা শয়তানকে দেখতে পারি না, অথচ তারা কি আমাদের চারপাশে থাকে?

কোরআনে সুরা জিনে (সূরা ৭২) বলা হয়েছে, একদল জিন আল্লাহর রসুলের কোরআন শুনে ইসলাম গ্রহণ করে। এই সুরাতে উল্লেখিত আছে যে, জিনদের মধ্যেও রয়েছে বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী। তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে জ্ঞানী ছিলেন, তার নাম ছিল ইবলিশ, যিনি আল্লাহর আদেশ অমান্য করে আদম (আ.)-কে সেজদা করতে অস্বীকার করেছিলেন। এর ফলে, ইবলিশ এবং তার অনুসারীরা মানুষের পথভ্রষ্ট করতে চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।

কোরআনে আল্লাহ জানিয়েছেন, মানুষ ও জিনের সৃষ্টি একে অপরের জন্য এবং ইবাদত করার জন্য। তবে, জিন আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থাকে। এর কারণ হতে পারে, তাদের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আমাদের চোখের সক্ষমতা থেকে বাইরে থাকে। মানবদৃষ্টির ক্ষমতা সীমিত, এবং আমরা দেখতে পারি কেবল ৪০০ থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোর স্পেকট্রাম। আর যদি কোনো তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ৪০০ থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার এর বাইরে থাকে, তবে সেটি আমাদের চোখের দৃষ্টিতে আসে না।

যেমন, বেতার তরঙ্গ এবং মাইক্রোওয়েভের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য মানুষের চোখের সক্ষমতার বাইরে থাকে, এবং সেগুলি আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। তেমনি, জিন এবং শয়তানের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এমনভাবে সৃষ্ট, যা আমাদের চোখে দৃশ্যমান নয়।

মহাবিশ্বের দিকে তাকালে, আমরা দেখতে পাই যে এটি প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মহাবিশ্বের বিস্তার এবং প্রসারণের জন্য যে শক্তি কাজ করছে, তা হচ্ছে 'ডার্ক ম্যাটার' এবং 'ডার্ক এনার্জি', যা পৃথিবীর বৈজ্ঞানিক ধারণা থেকে বাইরে এবং অদৃশ্য। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যও আমাদের চোখের দৃষ্টির বাইরে থাকে, এবং আমরা এর অস্তিত্ব অনুভব করতে পারি না।

আল্লাহ বলছেন, পৃথিবীর সামনে এবং পিছনে অদৃশ্য প্রহরী রয়েছে। এর মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে, ফেরেশতা, শয়তান, এবং জিনরা আমাদের চোখের দৃষ্টির বাইরে থেকেও আমাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে।

আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে যা আমরা দেখতে পারি না, তার মধ্যে অনেক অদৃশ্য শক্তি এবং সত্তা রয়েছে। জিন, শয়তান, ফেরেশতাদের উপস্থিতি এবং তাদের কার্যক্রম আমাদের দৃষ্টির বাইরে। কিন্তু কোরআন এবং বিজ্ঞান একসঙ্গে মিলিতভাবে আমাদের বোঝায় যে, যা আমরা দেখতে বা বুঝতে পারি না, তার অস্তিত্ব রয়েছে। এগুলি মানুষের চোখের সীমাবদ্ধতা এবং মহাবিশ্বের গভীরতার কারণে আমাদের জন্য অদৃশ্য থাকে।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে