ঢাকা, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

যে সব বদ-অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ডের ক্ষতি হতে পারে

২০২৫ মার্চ ০৯ ১৩:১০:১১
যে সব বদ-অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ডের ক্ষতি হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ঘুমের বিকল্প নেই। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তবে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা থাকে, যা শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। ঘুমের জন্য সঠিক বালিশের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক বালিশ না হলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষত মেরুদণ্ডে।

সঠিক বালিশ নির্বাচন:

ঘুমের পজিশন অনুযায়ী বালিশ নির্বাচন করা জরুরি।

কাত হয়ে ঘুমানো:

কাত হয়ে ঘুমালে বালিশ একটু উঁচু হতে হবে, যেন মেরুদণ্ড বিছানার সমান্তরাল থাকে। এতে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা বজায় থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে চাপ কমে। কাত হয়ে ঘুমানোর সময় দুই হাঁটুর মাঝে বালিশ রাখলে আরও ভালো হয়।

চিত হয়ে ঘুমানো:

চিত হয়ে ঘুমালে মাঝারি উচ্চতার বালিশ সবচেয়ে ভালো। এই অবস্থায় হাঁটুর নিচে একটি বা দুটো বালিশ রাখলে শিরদাঁড়া সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে এবং পিঠে কোনো চাপ পড়ে না।

উপুড় হয়ে ঘুমানো:

উপুড় হয়ে ঘুমানো খুবই ক্ষতিকর। এই পজিশনে ঘুমানোর ফলে মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তবে যদি এইভাবে ঘুমাতেই হয়, তাহলে পাতলা বা নরম বালিশ ব্যবহার করতে হবে, যাতে ঘাড় ও মেরুদণ্ডে চাপ কম পড়ে।

ঘাড়ের ব্যথা:

বালিশের সাইজ না মানলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। অনেকেই সঠিক বালিশ না ব্যবহারের কারণে ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন, যার ফলে ঘুম ভেঙে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সঠিক বালিশের ব্যবহারে ঘাড়ের ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

মেরুদণ্ডের সমস্যা:

পিঠ বাঁকা করে ঘুমানো একেবারেই ভুল। এইভাবে ঘুমালে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান বিঘ্নিত হয়, এবং এটি পরবর্তী সময়ে পিঠে ব্যথা ও অন্যান্য মেরুদণ্ডের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সুস্থভাবে ঘুমানোর জন্য সঠিক বালিশ এবং সঠিক ঘুমের পজিশন গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের গুণগত মান বাড়াতে এবং মেরুদণ্ডের ক্ষতি এড়াতে বালিশ নির্বাচনে সচেতনতা জরুরি।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর



রে