ঢাকা, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

পরিচালন মুনাফা বাড়লেও বড় লোকসানের কবলে পাওয়ার গ্রীড

২০২৫ জানুয়ারি ১৯ ০৭:৩৫:৩৮
পরিচালন মুনাফা বাড়লেও বড় লোকসানের কবলে পাওয়ার গ্রীড

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বড় পরিমাণে বিদেশী ঋণ নিয়েছে।

ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এই বিদেশী ঋণের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বিপাকে পড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) টাকার অবমূল্যায়নজনিত কারণে কোম্পানিটির ৬১১ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। যার ফলে পরিচালন মুনাফা করার পরও কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৫৬ কোটি টাকা।

এ ছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটির নিট লোকসান ছিল ৬২৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের বছরে কোম্পানিটি ১২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছিল। একইভাবে প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৮১ পয়সা, যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা।

বর্তমানে পাওয়ার গ্রীডের ঋণের পরিমাণ ৫২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির আয় ৮৪৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৫৭ কোটি টাকা। অথচ পরিচালন মুনাফা বেড়ে ৪৫৮ কোটি টাকা হলেও অবমূল্যায়নের কারণে বিশাল লোকসান কোম্পানিটির আয়কে অতিক্রম করেছে।

২০০৬ সালে পাওয়ার গ্রীড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এবং বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫ হাজার কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৯১৩ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং রিজার্ভে ১০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা রয়েছে।

শেয়ারবাজারে চলতি মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যহ্রাসের প্রভাব বোঝা যাচ্ছে, যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থাকে কঠিন করে তুলছে। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে পাওয়ার গ্রীডের শেয়ারের শেষ দর ছিল ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা, যেখানে বিগত এক বছরে এই শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ৩৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা।

এই পরিস্থিতিতে পাওয়ার গ্রীড কর্তৃপক্ষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেনি। প্রতিষ্ঠানের এই আর্থিক পরিস্থিতি শেয়ারবাজার এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে